অনলাইন সংস্করণ
১৮:০০, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডই শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। তিনি দাবি করেন, মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হলে শেখ হাসিনার গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
সোমবার বিকেল ৩টার পর এক ভিডিও বার্তায় ঘোষিত রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আখতার হোসেন বলেন, শুধু রায় ঘোষণায় নয়, রায় দ্রুত কার্যকর করলেই প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতি দ্রুত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাই খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাকে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার কাছে সোপর্দ করা উচিত।
ভিডিও বার্তায় এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, শেখ হাসিনার রায় কার্যকরের মধ্যদিয়ে বিশ্বে একটি নজির তৈরি হবে। শেখ হাসিনা শুধু উসকানিমূলক বক্তব্যই দেননি, বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তিনি মানুষ হত্যা করেছেন, লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করেছেন, বাহিনীকে খুনের কাজে ব্যবহার করেছেন এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। এমন নৃশংসতার পরও আজ যে শাস্তি ঘোষণা হয়েছে, তা তার অপরাধের অল্প অংশের বিচারের ফল। তার অন্যান্য সব অপরাধেরও বিচার হবে এবং গণহত্যাকারীদের শাস্তি কার্যকর হলে বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ তৈরি হবে, যাতে আর কোনো শাসক বা গোষ্ঠী মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হতে না পারে।
এর আগে, সোমবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় প্রদান করেন। অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।