অনলাইন সংস্করণ
১২:৩২, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার হওয়া নেতা–কর্মীদের বড় একটি অংশ দ্রুত জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকায় দলের ঝটিকা মিছিল বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও একে একে মুক্তি পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্যরা।
সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ আদালতে এখনও আওয়ামী লীগপন্থি ১৬ বিচারক কর্মরত আছেন। জুলাই আন্দোলনসংক্রান্ত যেকোনো মামলা এসব বিচারকের কাছে গেলে আসামিরা সহজেই জামিন পাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারের পর আদালতে পর্যাপ্ত তথ্য–প্রমাণ উপস্থাপনে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ মাসে ফ্যাসিবাদে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৩৭১ জন জামিন পেয়েছেন, যা মোট গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির প্রায় ৭৩ শতাংশ।
এদিকে জুলাই হত্যাকাণ্ড মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় যাতে কোনো ধরনের ভাঙচুর বা হামলার ঘটনা না ঘটে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া নজরদারি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে পুলিশ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বৈঠকে বলেন, কেউ আক্রমণ করলে তিনি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।