অনলাইন সংস্করণ
১৫:৩৬, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। গতকাল সোমবার ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বিবেচনায় এবং সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণে সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, এ অধ্যাদেশ ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে পরিচিত হবে।
গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদ এই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। শ্রম আইনকে আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং শ্রমিক–উদ্যোক্তা উভয় পক্ষের জন্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ করার লক্ষ্যেই সংশোধনগুলো করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কনভেনশনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ আইন যুগান্তকারী এবং আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্টসের সুপারিশ, বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও রাষ্ট্রের মতামত এবং ত্রিপক্ষীয় কমিটির আলোচনা থেকে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের সংজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, ফলে তারা শ্রম আইনের সুরক্ষার আওতায় আসবেন। নন-প্রফিট সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও শ্রম আইন কার্যকর হবে। শ্রমিকদের ব্ল্যাকলিস্টিং প্রথা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
একই কাজের জন্য নারী ও পুরুষ শ্রমিকের বেতন বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠনের বিধান আনা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।