ঢাকা বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা ইসির

নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা ইসির

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে জন্য ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, নির্বাচন মনিটরিং টিম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল এবং ভ্রাম্যমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিট (মোবাইল টহল ইউনিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরে নির্দেশনাটি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসনভিত্তিক জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, নির্বাচন মনিটরিং টিম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেলের সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। উপজেলা ও মেট্রোপলিটন (থানা) পর্যায়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সভাপতি হবেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটিগুলো আইন-বিধিমালা অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। এসব কমিটির দায়িত্বের মধ্যে থাকবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, আচরণ বিধি ও আইন প্রয়োগ, ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং ভোটারদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা।

পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার, ভ্রাম্যমাণ টহল এবং যেকোনো অনিয়ম প্রতিরোধ। এছাড়া জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও দল-নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এবং উপজেলা ও থানা পর্যায়ে একই ধরনের ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করা হবে। কমিটি গঠনের পর সদস্যদের নাম ও মোবাইল নম্বর জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা তদারকি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, মামলা বা অভিযোগ দায়ের এবং প্রতিদিন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে প্রার্থী, দল ও এজেন্টদের আচরণ বিধিমালা ও তা ভঙ্গের শাস্তি, বিশেষ করে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান প্রচার করতে হবে।

অন্যদিকে প্রতিটি আসনে নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠন করে প্রতি তিনদিন অন্তর বা প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন পাঠানো হবে। নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করে নিয়মিতভাবে কমিশনকে অবহিত করতে হবে।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে অভিযোগের তাৎক্ষণিক তদন্ত, নারী ভোটারসহ সব ভোটারকে নির্ভয়ে ভোটদানে উৎসাহ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন,ইসি,বিশেষ কমিটি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত