বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্রদের মূল দায়িত্ব হলো পড়াশোনা করা, ক্লাসরুমে থাকা। সচিবালয়ে, ডিসি অফিস, এসপি অফিস কিংবা সিভিল সার্জনের অফিসে তাদের কী কাজ? এভাবে কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রতিটি শহীদ পরিবারের সদস্যকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী বলেন, দেশে অনেক সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা ড. ইউনূস সরকারকে সমর্থন করেছি। শেখ হাসিনার সরকারের মতো এই সরকার বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর আমরা ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। তারপরও এখন নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি চলছে। লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর যুক্ত বিবৃতি এসেছে, তাতে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি নিয়ে কথা বলা শুরু হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
রিজভী বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময় তারেক রহমানকে নির্যাতন করে পঙ্গু বানানো হয়েছে। তবুও রাজধানী থেকে গ্রাম—সবখানে তার কণ্ঠের আওয়াজ পৌঁছেছে। এই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তারেক রহমান গণতন্ত্রের ধ্রুবতারা। তাকে নিয়ে অপপ্রচারে গেলে তার ফল ভোগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা এবং আমরা জিয়া পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন।