অনলাইন সংস্করণ
২১:২৪, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ঘোষিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এক যৌথ বার্তায় বলেন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এ ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা শিবিরের কর্মকাণ্ডকে সুশৃঙ্খল, আদর্শিক ও গণতান্ত্রিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ডাকসু নির্বাচনে।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে জাতিকে বার্তা দিয়েছে— দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের স্থান নেই। সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্বই জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা ফলাফল ভিন্ন খাতে নিতে চেয়েছিল। শিক্ষার্থীদের পাহারাদারির কারণে অবশেষে প্রকৃত ফলাফল ঘোষণা হয়। ঘোষিত ফলে শিবির ঘোষিত প্যানেল ২৮টির মধ্যে ভিপি-জিএস-এজিএসসহ মোট ২৩ পদে বিজয় লাভ করে।
শিবির ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ জোট থেকে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, জিএস হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এস. এম. ফরহাদ এবং এজিএস হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি মো. মহিউদ্দিন খান।
এ ছাড়া অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন খান, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এস. এম. আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক মো. জাকারিয়া।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন— সাকিবুন্নাহার তামান্না, সর্ব মিত্র চাকমা, আফসানা আক্তার, রায়হান উদ্দিন, তাজীনুর রহমান, ইমরান হোসাইন, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মো. রাইসুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, আনাস ইবনে মুনির এবং মো. বিল্লাল হোসেন অপু।
নেতৃবৃন্দ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের ডাকসুর মতো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শিবিরের পক্ষে রায় দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের মতে, আগামীর নেতৃত্ব ছাত্রসমাজ থেকেই উঠে আসবে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিবিরের ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
