
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় যেভাবে সহযোগিতা, সমর্থন ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে—সে জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
ওই পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।’’
তারেক রহমান বলেন, ‘‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।’’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পর আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। অবস্থার অবনতি হলে ২৩ নভেম্বর দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং পূর্বের জটিলতাগুলিও আরও বেড়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমে তাকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) রাখা হয়। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠলে রোববার ভোরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান সাংবাদিকদের জানান, “সিসিইউ থেকে আইসিইউ, তারপর ভেন্টিলেশনের মতো অতিরিক্ত সহায়তায় যেতে হচ্ছে— এটাই বলে দেয় ম্যাডামের অবস্থা কতটা সংকটাপন্ন। এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই। শুধু জাতির কাছে তার জন্য দোয়া কামনা করছি।”