প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
নিজেকে কবে শেষ দেখেছিলে,
ভাঙা আয়নার চতুর্থ কোণে?
যেখানে মুখ ছিল ভুলে যাওয়া নকশা,
আর চোখ, দগ্ধ নিঃশ্বাসের স্তবগানে।
তুমি কি এখনও হাসো ঠিকঠাক?
নাকি ক্লান্তির ভার পড়ে মুখোশে?
তোমার ‘ভালো’ কি তোমারই তৈরি?
নাকি শেখানো ছিল শান্তির খুঁটিতে?
‘ভেতর’ আর ‘বাহির’ কি একসুরে বাজে?
নাকি দ্বন্দ্বে গড়া দুই ভিন্ন রাজ্য?
একটাতে তুমি নিজেই নিজের শত্রু,
অন্যটায় তুমি রাজা নিঃশব্দে শাস্য।
নিজের ভুল কতবার সাজালে যুক্তির চাদরে?
আর কতবার হৃদয়ের কণ্ঠে চাপিয়ে দিলে মৌনতার তালা?
বলেছো, ‘এ তো সময়ের ইশারা’,
আসলে সেটা ছিল প্রতিবারই আত্মারই অধরা ব্যথার ধরা।
শেষবার নিজেকে ছুঁয়েছিলে কবে?
একটা পুরোনো দাগের মতো, নিঃশব্দ অভিশাপ।
নাকি ছুঁতে ভয় পেয়ে ছায়ায় দাঁড়িয়ে
বলেছো, ‘এই আমি নয়, কেবল ভাঙা মুখোশের ছাপ।’
তুমি কি মুখোশ পরেছো?
না মুখোশই পরে রেখেছে তোমায়?
তুমি কি বেঁচে আছো, নাকি প্রতিদিন
মরে যাচ্ছো নিজেকে না চিনায়?
মুখোশের নিচে কি আদৌ আর মুখ আছে?
নাকি শুধু হালকা ছায়া?
যেটা সময় বুঝে রং বদলায়,
আর প্রতিবিম্বে রেখে যায় মিথ্যে মায়া।
একটা ‘আমি’ কতোভাবে মরে?
না রক্তে, না নিঃশ্বাসে।
মরে প্রতিবার, যখন তুমি বলো
‘ভালো আছি’ ভাঙা বিশ্বাসে।
শরীরটা কেবল থেকে যায়, শ্বাস-নিঃশেষ,
আমার ‘আমি’কে এখন খুঁজে না কেউ।
তুমি ছিলে কি একজন, নাকি কেবল
একটা মুখোশধারী ছায়ার স্নায়ুবদ্ধ ঢেউ।