
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি এবং সেফ স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এরইমধ্যে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছি। এখন আমাদের মূল ফোকাস ভাঙা সড়কগুলো সংস্কার ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। গত বৃহস্পতিবার নগরীর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে সবুজায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিপ্লব উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন। তাই এটিকে রমনা পার্কের আদলে একটি নির্মল সবুজ পার্ক হিসেবে সাজানো হবে, যেখানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ অবসর সময় কাটাতে পারবেন। পাশাপাশি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই উদ্যানে উন্নয়ন কাজে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে তা জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শহরে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এতে পরিবেশ দূষণ ও কর্ণফুলি নদী মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তবে জনগণের অনীহা ও অভিযোগের কারণে তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজি হলে প্রকল্প আবারও চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট সমাধানে নতুন ল্যান্ডফিল্ড ক্রয়ের জন্য ফাইল প্রক্রিয়াধীন আছে। চট্টগ্রামে এখনও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধান হয়নি। ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ময়লা থেকে বিদ্যুৎ, সার ও অন্যান্য সম্পদ উৎপাদন সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে নগর সরকার দরকার মন্তব্য করে মেয়র বলেন, নগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম। নগর সরকারের কোনো বিকল্প নেই। একটি সিটি গভর্নমেন্টের অধীনে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা চাই নাগরিকদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করে একটি আধুনিক ও টেকসই চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে।