প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আল্লাাহতায়ালা মানুষ ও জিনদের ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানবজাতির মতো কেয়ামতের মধ্য দিয়ে জিনেরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ হবে শুধু এই দুই জাতির, তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে ভালো ও মন্দ কর্মের প্রতিদান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ ও জিনদের একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা জারিয়াত : ৫৬)।
আল্লাতায়ালা বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষ (পাপীদের) দিয়ে জাহান্নাম ভরে ফেলব।’ (সুরা সাজদা : ১৩)।
জিনেরাও মানুষের মতো মারা যায়। তারাও মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘জমিনের সবকিছুই ধ্বংস হবে। চিরস্থায়ী শুধু আপনার পরাক্রমশালী ও মর্যাদাবান প্রতিপালক।’ (সুরা রাহমান : ২৬-২৮)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আপনার মর্যাদার আশ্রয় কামনা করছি। আপনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই; যিনি মৃত্যুবরণ করেন না, অথচ জিন ও মানুষ মারা যায়।’ (বোখারি : ৭৩৮৩)।
জিনরা কখন মারা যায়, তারা কত বছর বেঁচে থাকে, আল্লাহ ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জ্ঞান রাখে না। তবে ইবলিস কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘ইবলিস বলল, যেদিন তাদের পুনরুত্থিত করা হবে, সেদিন পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন।’ (আল্লাহ) বললেন, ‘তুমি অবকাশপ্রাপ্ত।’ (সুরা আরাফ : ১৪-১৫)।
এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, ইবলিস কেয়ামত পর্যন্ত আয়ু পেয়েছেন। তবে আয়ুষ্কাল নির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। কারণ, কেয়ামত কবে হবে, এ ব্যাপারে আল¬াহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। ইবলিস হলো একমাত্র জিন, যার জীবনকাল সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে। জিনদের অন্যান্য বিষয়ের মতো তাদের আয়ুষ্কাল মানুষের জ্ঞানের বাইরে।
তবে জিনরা মারা যায়। খুলাইদ (রা.) বলেন, ‘আমি তাহাজ্জুদের নামাজে ‘কুল্লু নাফসিং জা ইকাতুল মাওত’ আয়াতটি বারবার পড়ছিলাম। তখন ঘরের এক কোণ থেকে কেউ একজন আমাকে ডেকে বলল, ‘আর কতবার এই আয়াত পাঠ করবে? এর মধ্যে এর দ্বারা তুমি চারটি জিনের দলকে হত্যা করেছ। যারা এই আয়াত শোনার পর আসমানের দিকে মাথা উঁচু করে তাকাতেই মারা গেছে।’ এ কথা শুনে খুলাইদ ভয় পেয়ে যান।’ (মুসলিম : ২২৩৬)।
এই হাদিস দ্বারা জিনদের মারা যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তবে তারা কত বছর বাঁচেন, এ বিষয়ে কোরআন-হাদিসে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক