মাত্র ৯ মাসে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউশন (পিপি) টিম ২৮টি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজারের অধিক আসামিকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি।
তিনি জানান, গত বছরের ২৭ অক্টোবর আমি এবং আমার সহকর্মীরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আদালত, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আমরা ব্যাপকভাবে মিথ্যা মামলাগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করি। এরপর সরকার এসব হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। অ্যাডভোকেট আদম সুফি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে পঞ্চগড়ে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং হয়রানির অংশ হিসেবে পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক যেসব ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলোর অধিকাংশই যাচাই-বাছাই শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এসব মামলায় নিরীহ জনগণ, রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় তিন হাজারের অধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, অনেকেই জানেন না যে এসব মামলার নিষ্পত্তি এরইমধ্যে হয়ে গেছে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা এই বার্তাটি জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই যে তারা এখন মুক্ত, তাদের আর কোনো মামলায় হাজিরা দিতে হবে না। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ সহায়তা এবং বিচার বিভাগের আন্তরিকতা ছাড়া এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হতো না।
যেসব মামলা ভুয়া সাক্ষ্য বা ভিত্তিহীন এজাহারের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছিল, সেগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানান পিপি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্পেশাল পিপি জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পিপি খলিলুর রহমান, অ্যাড. ইয়াছিনুল হক দুলাল, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাড. মেহেদী হাসান মিলন ও অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মিলন।