ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় কাটা হচ্ছে অপরিপক্ব পাট

কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় কাটা হচ্ছে অপরিপক্ব পাট

যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে অপরিপক্ক পাট। পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও নদ নদীর পানি প্রবেশ করে পাটক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়ে কৃষকেরা পাটগাছ আগেভাগেই কেটে ফেলছেন।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীজ বপনের ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পাটে পরিপক্কতা আসে। তবে কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় পাটগাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পানির ভেতর থেকে আগেভাগেই পাট কাটতে হচ্ছে। পাট পরিপক্ক না হওয়ায় কৃষকেরা যেমন রয়েছেন দুশ্চিন্তায়, তেমনি পানির ভেতর থেকে পাট কাটতে গিয়ে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পানির মধ্যে নেমে কৃষকেরা ক্ষেতের অপরিপক্ক পাট কাটছেন।

উপজেলার মূলগ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, তার ২৬ শতক জমিতে লাগানো পাট টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার পানি দীর্ঘদিন জমে থাকায় অপরিপক্ক পাটগাছ নষ্ট হতে শুরু করেছে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তা কেটে ফেলতে হচ্ছে। ভাদ্র মাসের শেষদিকে এই পাটে পরিপক্কতা আসত। উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদা গ্রামের কৃষক ওলিয়ার রহমান, নুর ইসলাম সানা, আবদুস সবুর মোড়ল, ইকবাল হোসেন বলেন, পানির ভেতর পাট নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে কারণে দ্রুত পাট কেটে ফেলা হচ্ছে। পানির ভেতর একজন শ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক শতকের বেশি পাট কাটতে পারছেন না। স্বাভাবিক মজুরির চেয়ে তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। অপরিপক্ক পাটে আঁশ ভালো হয় না, ফলে বাজারে দামও কম পাওয়া যাবে। বাগদা বিলে পানিতে কৃষককে অপরিপক্ক পাট কাটতে দেখা যায়।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টি ও নদনদীর পানি প্রবেশ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকের ২৩৮ হেক্টর পাটক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজ বপনের ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পাট পরিপক্ক হয়। ভাদ্র মাসের শেষদিকে কাটলে কৃষকেরা পরিপক্ক পাট পেতেন। কিন্তু জলাবদ্ধতায় পাটগাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে আগে ভাগেই তা কেটে ফেলছেন। এতে কৃষকের যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে এবং তারা উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত