
দাগনভূঞা উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে ৩০১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ২ হাজার ৪২০ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪৩৫ জন কৃষক আউশ, গ্রীষ্মকালীন সবজি ১৩৪০ জন কৃষক, ৩২৫ জন কৃষক আমন বীজতলা, ১৯৫ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন মরিচ, ৮৫ জন কৃষক আদা, ১০ জন কৃষক বস্তা আদা, ৩০ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো করেছিলেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একই সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করা হয়েছিল। অতিবৃষ্টির কারণে ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১২৭.৫ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে ৯৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি,৭৪ হেক্টর আউশ, ৩.৮৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ১.৯৫ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন মরিচ, ০.৫০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন টমেটো, ০.৭০ হেক্টর আদা এবং ১২২ হেক্টর বস্তা আদার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামের অর্গানিক ভেজিটেবলের স্বত্বাধিকারী হাসান আহমেদ বলেন, আমার ২৪০ শতক জমিতে লাগানো ধান ও শাকসবজিসহ সব ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২০ শতক জমিতে ধান, ৪০ শতক জমিতে অর্গানিক ভেজিটেবল, ৩০ শতক জমিকে পলি শেডের মধ্যে অন্যান্য সবজি এবং ৫০ শতক জমিতে গ্রাফটিং টমেটো, মরিচ, শশা, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা ও বরবটির আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের সমাসপুর এলাকার কৃষক মো. জাহিদ বলেন, আমি ৫ হেক্টর জমিতে আউশ করেছি অতিবৃষ্টির কারণে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। একই এলাকার কৃষক শাহ আলম বলেন, ২ হেক্টর আউশ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক জহির উদ্দিন বলেন, ১ হেক্টর জমির আউশ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। সরকারিভাবে প্রণোদনা বাড়িয়ে না দিলে চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা সহায়তা না পেলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, অত্র উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলো সংস্কার জরুরি।