
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর মেজর এবং ডিজিএফআই কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সোহেল হাওলাদার (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। গত বুধবার সকালে উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সোহেল পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদরপুর গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে। থানা সূত্রে জানা গেছে, সোহেল পাঁচ মাস আগে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৩) কে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে করেন। তিনি সেনাবাহিনীর লোগো সংবলিত একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন এবং নিজেকে কখনও ‘মেজর’, কখনও ‘ডিজিএফআই সদস্য’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতেন। একই পরিচয়ে তিনি বকসির ঘটিচোরা গ্রামে দ্বিতীয় বিবাহও করেন। সম্প্রতি সোহেল সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয় দাসকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। গৃহবধূ প্রথমে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করলেও পরে সোহেলের সন্দেহজনক আচরণে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে যে, সোহেলের সেনা কর্মকর্তা পরিচয় সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং প্রতারণার উদ্দেশ্যেই তিনি এমন পরিচয় ব্যবহার করছেন।
প্রতারিত গৃহবধূ হাসি রানী দাস এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে সোহেলকে আটক করে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিংবা ডিজিএফআইর কোনো সদস্য নয়। এ ঘটনায় গৃহবধূ হাসি রানী দাস বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।