
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ কেন্দুয়া উপজেলার তিন সাহসী সন্তান- তোফাজ্জল হোসেন, জিয়াতুল ইসলাম খোকন ও আলী হোসেনের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একে একে শহিদদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কবর জিয়ারত এবং আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শহিদ তোফাজ্জল হোসেনের কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা ইয়াসমিন, কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মাওলা, কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
শহিদ জিন্নাতুল ইসলাম খোকনের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিনিধি দল। শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া হয়। শহিদের সমাধি ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর আবেগ দেখা যায়।
শহিদ আলী হোসেনের কবরেও একইভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, শহিদ তোফাজ্জল হোসেন (২২) পেশায় ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি গত বছরের আগস্ট গাজীপুরের মাস্টারবাড়ী এলাকায় শহিদ হন।
শহিদ জিয়াতুল ইসলাম খোকন (২৩) ছিলেন একজন শ্রমিক। তিন গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় শহিদ হন। শহিদ আলী হোসেন (৪৪) ছিলেন ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ১৮ ঢাকার উত্তরায় শহিদ হন। এই তিনজনের নাম গেজেটে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ’ হিসেবে ঘোষণা করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।