
ঝিনাইদহে বিদ্যালয় পরিচালনার আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর-হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির সমর্থক মাসুদুর রহমান, রহমত উল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, ইমদাদুর রহমান, জামায়াতের সমর্থক শামীম হোসাইন, মুক্তার বিশ্বাস, সফর আলী, তোতা মিয়া, জহুরুল ইসলামসহ ১৫ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে ইসলামপুর-হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে আহ্বায়ক হন জামায়াত সমর্থক জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জহুরুল বিদ্যালয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সদর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি জহুরুল বলেন, ‘প্রশাসন, শিক্ষা কর্মকর্তা ও আমরা সব পক্ষের মানুষ মিটিং করে বোর্ডের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে এবং আমি আহ্বায়ক হয়েছি। প্রথম দিন আমরা স্কুলে গেলে তারা বাধা দেয়। গতকাল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় এবং এরই জেরে এই মারামারি।’ স্থানীয় মহারাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, সকালেই ফোন আসে যে স্কুলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এরপর আমি সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে যাই মীমাংসা করার জন্য। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় জহুরুল, তার ভাইসহ তাদের সমর্থকেরা এসে আমার সঙ্গে থাকা লোকজনের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। ওরা ভোর থেকেই লাঠি, রামদা নিয়ে স্কুলে বসেছিল। বর্তমান যে আহ্বায়ক, তার তো কোনো বৈধতা নেই। তারপরও ওরা জোর করে দখল করে থাকবে, মাস্টারদের মাস্টারি করতে দেবে না। এটা তো ঠিক না। পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আবারও দুই দলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।