
কিশোরগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন একই পরিষদে থাকা ৭৪ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে (সচিব) একযোগে বদলি করা হয়েছে। ১২ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে বদলি হওয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদ হাছান খান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, ১৩টি উপজেলায় মোট ১০৮টি ইউপি রয়েছে। এর ৭৪টির প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এবারই প্রথম একযোগে বদলি করা হয়েছে। ৪ আগস্ট স্বাক্ষরিত ওই আদেশে প্রত্যেককে ১২ আগস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ রয়েছে। যোগদানে ব্যর্থ হলে একই দিনে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
বদলি হওয়া ৭৪ প্রশাসনিক কর্মকর্তার মধ্যে বেশ কয়েকজনের উপজেলা পরিবর্তন করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়ন পরিষদে বদলি করা হয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুমা হককে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদে বদলি করা হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাফর আলীকে অস্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া গত ৬ আগস্টের অন্য আরেকটি আদেশে ৪০ জন হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে বদলি করা হয়েছে। ওই আদেশে প্রত্যেককে ১৪ আগস্টের মধ্যে বদলিকৃত নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় একই দিনে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন বলে আদেশটিরে উল্লেখ করা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদ হাছান খান বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন। কাজের গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসনিক স্বার্থে বদলি করা হয়েছে।