ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালক হত্যায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালক হত্যায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে- আট ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫৫) কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার ৪ দিন পর ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করে দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং ক্লুলেস এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১১

সিপিসি-৩। গতকাল রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীম মিয়া। এরআগে, গত শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রাম ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামের মনির হোসেন (৩৭) একই গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. লিটন (২৬)। পুলিশ জানায়, নিহত অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলামের আদি নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা এলাকায়। বিয়ে করে ৪০ বছর ধরে তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীন বেপারী বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ২-৩ মাস আগে তিনি একটি নতুন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন। গত সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। পরের দিন গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তার গলায় দড়ির দাগের ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল। পুলিশ আরও জানায়, গত শনিবার ৩০ আগস্ট রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের কামাল হোসেনের গ্যারেজ থেকে মূলহোতা মনিরকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মনির স্বীকার করে ভিকটিম রফিকুল ইসলাম তার পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা এক সঙ্গে আড্ডা দিতেন। গত সোমবার রাতে কোমল পানীয় স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম বারবার পেছন পিছন আসে। পরে ওই অটোরিকশা করে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসামি মো. লিটনের সহযোগিতায় মনির হোসেন তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে নিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। আসামির দেওয়া তথ্যমতে চরজব্বর থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করা হয়।

চরজব্বার থানার ওসি শাহীম মিয়া আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। যাচাই বাচাই শেষে রিপন নামে এক তরুণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখি নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত