ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুলেন্স সংকট

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুলেন্স সংকট

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার মানুষ থাকলেও তাদের জরুরি অবস্থার জন্য রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। প্রতিষ্ঠার প্রায় ২০ বছর পরেও অ্যাম্বুলেন্স সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টার ‘ব্যথার দান’ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা না রাখায় যে কোনো অসুবিধা বা জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের যেতে হয় ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে, যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় একটিমাত্র অ্যাম্বুলেন্সে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। আইন ও বিচার বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মানিক চন্দ্র বলেন, জরুরি মুহূর্তে সঠিক সময়ে এম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। বিশেষ করে রাতের সময় রোগীকে নিজ উদ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন এবং ২৪ ঘণ্টা জরুরিসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহসিন হক বলেন, মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকার কারণে একসঙ্গে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলে জরুরি সেবায় দেরি হয়। অন্তত ২-৩টি অ্যাম্বুলেন্স এবং প্রতিটিতে দু’জন ড্রাইভার থাকা প্রয়োজন। ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম জানান, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে অন্যান্যভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, যা পুরোপুরি সেবা দিতে পারছে না। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি ইউজিসিকে জানিয়েও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে আমরা কর্পোরেট সোস্যাইল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) থেকে নতুন অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ার চেষ্টা করছি। নতুন অ্যাম্বুলেন্স আসলে আশা করি সংকট কিছুটা হলেও নিরসন হবে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধুমাত্র আশ্বাস নয়, দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট লাঘব হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত