
আমন হচ্ছে ধান উৎপাদনের একটি মৌসুম। ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুমের মাঝে এটি একটি, আমন ধানকে হেমন্ত ঋতুর ধান বলা হয়। এটা রোপণের সময় হচ্ছে জুন-জুলাই মাস এবং কাটার সময় হচ্ছে অক্টোবর-নভেম্বর মাস। বাংলাদেশের সিমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলা এ জেলায় মানুষ কৃষিতেই নির্ভরশীল। বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষকেরা যত্নে মেতে উঠেছেন আমন ধানের। ধানের চারায় যেন কোনো প্রকার ক্ষতি না হয় তার জন্য সব কৃষকেরা যার যার মতো করে ধানের চারার যত্ন নিতে ব্যস্ত। শেরপুরের সদর কৃষক ইয়াদ আলীর কাছ থেকে জানা যায় ধানের চারায় যেন মাজরা পোকা ও পাতা মুড়ানো পোকায় কোনো ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য এখন খেতে বিভিন্ন কোম্পানির বিষ দেওয়া হচ্ছে। বিষ ছিটানোর কাজে যে নিয়োজিত থাকে তাকে প্রতি কাঠায় ২০ টাকা করে দিতে হয়। তার কাছ থেকে আরও জানা যায় বিভিন্ন জাতের ধান কৃষক লাগিয়ে থাকে তার মাঝে আমগরে এই দিকে স্বর্ণ গুটি ধান আর বি আর এগারো ধান বেশি লাগাইছে কৃষকেরা। শেরপুর জেলার ৫টি থানায় ৫২টি ইউনিয়নে মোট ৯৩৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন বলে জানিয়েছে শেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা। জানা যায় শেরপুর সদর উপজেলায় ২৪,৭৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়, নকলা উপজেলায় ১৩,১১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেন, নকলার কৃষকরা। নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৩,২৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন- নালিতাবাড়ীর কৃষকেরা এ উপজেলা ভারতের সীমান্তে আবস্থিত হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। ঝিনাইগাতি উপজেলায় ১৪,৬৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন- ঝিনাইগাতির কৃষকেরা এ উপজেলার মানুষ পাহাড়ি এলাকার মানুষ হিসেবে পরিচিত তার কারণ এ উপজেলাতেই গজনী পাহাড় আবস্থিত। শ্রীবরর্দী উপজেলায় ১৭,৯৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেন কৃষকেরা। শেরপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মুসলিমা খানম নিলুর কাছ থেকে জানা যায়- কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা আমরা কৃষকদের মাঝে ধান বীজ ও সার বিতরণ করেছি যা দিয়ে শেরপুরের কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করেছে। আমরা আশা করছি এবারের আমন ধানে কৃষকেরা ভালো ফসল পাবে ইনশাআল্লাহ।