
দক্ষিণ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ভাসমান হাটে আমন ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় বীজ কম আসায় পিরোজপুর জেলার কাউখালীর চিরাপাড়া নদীতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও আমন মৌসুমে ভাসমান আমন চারার হাট জমজমাট ছিল। এ বছর অতিবৃষ্টি ফলে বিভিন্ন উপজেলায় নিচু এলাকার আমন বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে ওই সমস্ত এলাকায় আমন ধানের চাড়ার সংকট দেখা দেয়। সংকট উত্তর্ণের জন্য কৃষকরা আমন বীজ নিতে কাউখালী ভাসমান চারার হাটে প্রতি বছরের মতো ভিড় জমায়। গতকাল সোমবার সকালে কাউখালীর চিড়াপাড়া নদীতে ভাসমান বাজারে গেলে শত শত কৃষক নৌকায় করে ধানের চারা বিক্রি করার জন্য আসেতে দেখা যায়। হাটের শুরুতে ক্রেতা সংকটে দাম একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটে বীজ না থাকায় সংকট দেখা যায়। এ সময় চাহিদা মতো বীজ না থাকায় কৃষকরা হন্যে হয়ে খুঁজছে আমন বীজ। কাউখালীর ভাসমান হাটে গতকাল সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে চারা ক্রয় করতে আসা অনেক কৃষক বীজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ হাটে রাজাপুর ভান্ডারিয়া, হুলারহাট, শেখেরহাট, রাজপাশা, ঝালকাঠী লেবুবুনিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, বানরীপাড়াসহ প্রায় ১৫-২০টি অঞ্চলের কৃষকরা আমন বীজ সংগ্রহের জন্য কাউখালী ভাসমান বীজের হাটে আসেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় কাউখালীতে বীজের সংকট না থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে আমন বীজের সংকট রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে অনেকে নতুন করে বীজ তলা তৈরি করার পরেও বীজ সংকট দেখা দিয়েছে। চারাখালি থেকে বীজ ক্রয় করতে আসা কৃষক আবুল কালাম জানান ২০ গোন্ডার এক পোন আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে তার লেগেছে ২ হাজার টাকা। অথচ সকালে এই বিজ বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
এছাড়াও ভান্ডারিয়া ও রাজাপুর থেকে বীজ কিনতে আসা অনেক কৃষক চাহিদা মতো বীজ কিনতে পারেনি। এছাড়া বানাড়ীপাড়া থেকে আসা কৃষক নাঈম শিকদার জানান তার আসতে বিলম্ব হওয়ায় হাটে বীজ ক্রয় করতে পারেন নি। কৃষক নসুু মিয়া জানান, ভাদ্র মাসের শেষের দিকে আমন চারা রোপণে শেষ সময় হওয়ায় বাজারে আজ ক্রেতা বিক্রা উভয়েরই চাপ দেখা গেছে। কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় আমন বীজের কোনো সংকট নেই বরং বীজ বিক্রি লাভবান হচ্ছে।