
বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে ঘুষ, দালাল কিংবা সুপারিশ ছাড়াই পুলিশের চাকরি পেলেন সাতক্ষীরা জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়েছেন দুইজন নারীসহ ২৮ জন যোগ্য প্রার্থী। অপেক্ষমান আছে আরও ৬ প্রার্থী। গত বুধবার রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা নিয়োগের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও শতভাগ স্বচ্ছতারভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এখানে যারা চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা সবাই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতারভিত্তিতেই স্থান পেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি অকৃতকার্য প্রার্থীদের ভবিষ্যতে আবারও প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় চেষ্টা করার আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন- বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন। এজন্য সবার উচিত সততা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা। দু’জন নারীসহ নিয়োগ পাওয়া ২৮ জনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে অধিকাংশ প্রার্থী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নারী দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি তালার নগরঘাটা এলাকায় এবং অন্যজনের বাড়ি কালিগঞ্জের রতনপুর এলাকায়। নগরঘাটার সাবিকুন্নাহার লিজার পিতা নাই। মামার সংসারে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
তিনি বলেন- পুলিশে চাকরি পেয়ে আমি অনেক খুশি। এবার আমি আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
ফলাফল ঘোষণাকালে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক। উল্লেখ্য, এ নিয়োগ কার্যক্রমে অংশ নিতে ১ হাজার ৯০০ জন প্রার্থী আবেদন করেন, অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৪০০ জন। প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন ৩৩৫ জন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৮ জন, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৬ জন, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৮ জন এবং অপেক্ষমান রয়েছেন ৬ জন।