ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফরিদা পারভীনের স্মরণে আলোচনা সভা

ফরিদা পারভীনের স্মরণে আলোচনা সভা

বিশিষ্ট কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন- বাংলাদেশে পাকিস্তান আমলে লালনের গান গাওয়া হতো শুধু পল্লিগীতি হিসেবে। লালনের নামও নেওয়া হতো না। শুধুমাত্র স্বাধীনতার পরে এটা লালনের সংগীত আকারে গেছে। আর লালন সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন তার গায়কির মাধ্যদিয়ে লালনকে পল্লিগীতির স্তর থেকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে এনেছেন একটা ভাবের গান হিসেবে।

গত বুধবার বিকালে লালন একাডেমির আয়োজনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়া ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়াবাড়িতে ফরিদা পারভীনের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন- ফরিদা পারভীন একজন শিল্পী নয়। তাকে শিল্পী বললে অপমানিত করা হবে বলে মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, লালনের গান যে সাধকদের, বাংলার ভাব চর্চার। বাংলা দর্শন চর্চার একটা দীর্ঘ ধারায় গড়ে উঠেছে। এটার কোনো রকম হদিস আমাদের শিক্ষিত মহলেও নাই। আবার যারা লালনের গান চর্চা করে তাদের মধ্যেও নাই। ফরিদা পারভীন তার বিশেষ ভঙ্গির মাধ্যমে প্রথম আমাদের বুঝিয়েছেন লালন একটা নিছকই সংগীত নয়। এটা একটা ভাব সংগীত। এটা একটা ভাবের গান। এটা বিশেষ একটা দার্শনিক অবস্থানকে পেশ করবার বিশেষ পদ্ধতি।

লালন শিল্পী ও ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন- কিছু মানুষ লালনের গানের সঙ্গে নাচ করেন। এটা কিন্তু লালনের ভাবের সঙ্গে যায় না। এটা ক্ষতিকর। সুতরাং এটাও চর্চার বিষয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক, মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য, ‘লালনকন্যা’ খ্যাত দেশবরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরদিন এশার নামাজ শেষে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্তানে মা-বাবার কবরে তাকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত