
সুনামগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে বছরে ৩৭ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার ডিম উদ্বৃত্ত থাকে এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার ডিম দিবসের র্যালি শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খলেদ সাইফুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা, মানবকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমিত সাহা, দিরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এফএম বাবরা হ্যামিলন, তাহিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় বছরে ৪০ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। জাতীয় ভাবে বছরে একজন লোক ১০৪টি ডিম খাওয়ার কথা।
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলায় ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৫ জন লোকের বাস। সেই হিসেবে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বছরে ৩৭ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার ডিম উদ্বৃত্ত থাকে। এছাড়াও জেলার ১২টি উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ১২ লাখ থেকে ১৩ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। তবে এ উৎপাদনের ৮০ ভাগ হচ্ছে হাঁসের ডিম, বাকি হচ্ছে লেয়ার মুরগিসহ অন্যান্য মুরগির ডিম।