বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, ছাত্রশিবিরের ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন- নামমাত্র মুসলমান হয়েছিল কিন্তু আলেমদের পক্ষে, ইসলামের পক্ষে কাজ করেনি, বরঞ্চ উল্টোটা করেছে। বিগত পনের-ষোল বছরে বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করে দেওয়ার জন্য সব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। এদেশের আলেমণ্ডওলামাদের উপর নিযাতন চালিয়েছিল। গতকাল শনিবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও-১ আসনের আয়োজনে সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে এক উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- ২০২৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলো বন্ধ করে গভীর অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে হাজার হাজার আলেমণ্ডওলামাদের শহিদ করেছিল। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছরে দেখেছি, আমাদের আলেমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি, মসজিদগুলোতে স্বাধীনভাবে খুদবা দিতে পারেনি। তাদেরকে নিকৃষ্ট কথা বলার জন্য বাধ্য করেছিল। কোরআন রাখার অপরাধে, হাসিস রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার করে জঙ্গী নাটক সাজিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় পাঠানো হয়েছিল। জামায়াত নেতা বলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে, চাঁদাবাজী বন্ধ হবে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন এবং আলী আহসান মুজাহিদ একটা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিলেন। আজও পর্যন্ত সেই মন্ত্রণালয়গুলোকে সকলে স্মরণ করে। অনেক অনুসন্ধান করেও ১ টাকার ঘুষ দুর্নীতি বের করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন- আগামীদিনে যদি আলেমদের হাতে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারি- সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি তাহলে এদেশটি সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। অধ্যক্ষ কফিল উদ্দীন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামীম সাঈদী, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান, জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীরসহ অনেকে।
