ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে শীতের আগমন মার্কেটে প্রস্তুতি শুরু

ঈশ্বরদীতে শীতের আগমন মার্কেটে প্রস্তুতি শুরু

ঈশ্বরদীতে হালকা শীতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে প্রায় দুই ডিগ্রি করে। অভিজাত বিপণিবিতানগুলোসহ গরিবের মার্কেট খ্যাত হকার্স মার্কেটেও শুরু হয়েছে শীতের পোশাক বিক্রির প্রস্তুতি। ঈশ্বরদীর হাওয়া এখন আর আগের মতো উষ্ণ নেই। ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যা রাতেই বাতাসে হালকা শীতের ছোঁয়া অনুভূত হচ্ছে। রাস্তায় কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে পাতলা সোয়েটার বা জ্যাকেট পরে চলাফেরা করতে। নভেম্বরের শুরুতেই এই ঠান্ডার ইঙ্গিত বুঝে নিয়েছে পোশাক ব্যবসায়ীরাও। সরেজমিনে ঈশ্বরদী শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ও শহরের বাইরে কয়েকটি এলাকায় হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে এরইমধ্যে দোকানগুলো সাজতে শুরু করেছে শীতের বাহারি পোশাকে। লেপ তৈরির কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ তৈরিতে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের পোশাক বিক্রি এখনও ঠিক জমে ওঠেনি। আবহাওয়া পুরোপুরি ঠান্ডা না হওয়ায় ক্রেতারা এখনও অপেক্ষা করছেন। প্রস্তুতি কিন্তু আগেভাগেই নিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা চলতি সপ্তাহ থেকেই দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট আর উলের টুপি তুলেছি। কিন্তু ক্রেতা এখনও খুব একটা আসছে না। সকালে একটু ঠান্ডা থাকে, কিন্তু দুপুরে আবার গরম পড়ে যায়। তাই মানুষ এখনও কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’

তিনি আশা করছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বিক্রি বাড়বে। আরেক সপ্তাহ গেলেই ঠান্ডা পড়বে। তখন ক্রেতার ভিড় বাড়বে, তখন বিক্রিও জমে উঠবে। গরিবের মার্কেট হিসেবে খ্যাত হকার্স মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন গৃহিণী নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘শীত এখনও পড়েনি, তবে বাচ্চাদের জন্য আগেভাগে কিছু নিতে এসেছি। ওরা সকালে স্কুলে যায়, তখন একটু ঠান্ডা লাগে। তাই হালকা সোয়েটার কিনছি।’

অন্যদিকে শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম জানান, ‘আমি একটু ট্রেন্ডি পোশাক পছন্দ করি। নতুন ডিজাইনের জ্যাকেট আর হুডি আসছে শুনে দেখতে এসেছি। দাম এখন একটু বেশি মনে হচ্ছে, তাই ভেবে দেখছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত