
ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজসহ পাঁচ দফা দাবিতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২২৫ মেঘাওয়াট বিদুৎকেন্দ্র ঘেরাও করে আন্দোলন করছে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা। দিনভর কোন আশ্বাস না পেয়ে সন্ধ্যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে তালাবদ্ধ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে দেন।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে লংমার্চ করে আন্দোলনকারীরা বোরহানউদ্দিন সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ মাঠে জড়ো হয়। পরে সেখান ওই উপজেলার গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট ঘেরাও করতে রওনা হয়। প্লান্টের মুখে পুলিশ আন্দোলনকারীদের প্রবেশে বাধা দিলে ওখানেই বিক্ষোভ করতে থাকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা। তারা স্লোগান দিতে থাকে দাবি মোদের একটা ভোলা-বরিশাল সেতু চাই, দাবি মোদের একটাই সরকারি মেডিকেল কলেজ চাই, দাবি মোদের একটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই। এ দাবি মানা না হলে ভোলার গ্যাস দিয়ে জাতীয় কোনো চাহিদা পূরণ করতে দেয়া হবে না। ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্থাপিত ২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ’ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। গ্যাস দ্বারা ওই প্লান্ট চলছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ওই স্থানে অবস্থান নেন উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস, ওসি ছিদ্দিকুর রহমানসহ র্যাব, নৌবাহিনীর বিশেষ টিম। দুপুর ৩টায় ঘোষণা করা হয় এক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না হলে ওই প্লান্টের সামনেই বিক্ষোভ কমর্সূচি অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনকারীরা জানান, ভোলা জেলা শহর ও বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য পাঁজ বছর আগে গ্যাস লাইন টানা হয়। অথচ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি। অপর দিকে ৫ বছর আগেই ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমান সরকার ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন। ওই কাজও শুরু করা হচ্ছে না। আবাসিক গ্যাস সংযোগ আর দেওয়া হবে না বলেও জানান উপদেষ্টারা। সেতু নির্মাণও এই মুহূর্তে সম্ভব হবে না বলেও জানান সেতু উপদেষ্টা। এতে ক্রমেই উত্তপ্ত হন স্থানীয়রা। তাদের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হলে ভোলা থেকে কোনো গ্যাস ঢাকায় নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে আমরা ভোলাবাসী ব্যানারে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী, আন্দোলনের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন।