ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অসময়ের বৃষ্টিতে কমেছে সরিষা চাষ

অসময়ের বৃষ্টিতে কমেছে সরিষা চাষ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হলেও গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৪০ হেক্টর কম জমিতে সরিষা চাষ করতে পেরেছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছিল। এ বছর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩২৮ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে এ বছর সঠিক সময়ে সরিষার বীজ বপন করতে না পারায় কৃষকেরা ভুট্টা ও সবজি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। সরেজমিনে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক আবুল বাশার, সাহেবের চর গ্রামের বাচ্চু, আলামিনসহ অনেকেই জানান, এ বছর অসময়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে জমি সরিষার চাষের উপযোগী করতে পারিনি। এ জন্য আমরা এ বছর সরিষা চাষ করতে পারি নাই। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষা আমাদের এই গ্রামে হয়। কম খরচে সরিষা উৎপাদন করে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারতাম। তারা আরো জানান, বিগত বছরে তারা সরিষার ফুল বিক্রি করেই প্রত্যেকেই অর্ধলক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। সরিষা চাষে তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম কিন্তু লাভের পরিমাণ বেশি। উপজেলার চর জামাইল গ্রামের কৃষক নবী হোসেন ও নুরুল হুদা সহ অনেকে জানান, তারা এ বছর ২বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করে ৫ হাজার টাকার খরচ করেছেন কিন্তু ফুল বিক্রি করে ১২ হাজার টাকা লাভ করেছেন।

চরহাজীপুর গ্রামের কৃষক রতন বলেন, আমাদের জমি উঁচু হওয়ার কারণে সঠিক সময়ে কিছু জমিতে সরিষা চাষ করতে পেরেছি। যাদের জমি নিচু, বৃষ্টির কারণে এ বছর তারা সরিষা চাষ করতে পারে নাই। তারা বেশিরভাগ ভুট্টা ওধান চাষ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একে এম সাজাহান কবির বলেন, ‘অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সরিষা বপন করার সময় মাটিতে জো ছিল না। এ জন্য এ বছর সরিষা চাষ কম হয়েছে। তবে উপজেলায় ভুট্টা ও সবজি চাষ বেড়েছে। মূলত যেসব জমিতে সরিষা চাষ করতে পারেননি; এসব জমিতে পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষক ভুট্টা এবং সবজি চাষ করেছেন।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত