প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৯ জুলাই, ২০২৫
জীবন প্রবহমান, কখনও তা থেমে থাকে না। এই স্বল্প আয়ুর জীবনে জয় ও পরাজয় বারবার আসবে, যাবে। জয় আমাদের এনে দেয় আনন্দ, আর পরাজয় সাময়িক কষ্ট দিলেও ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমাদের পৌঁছে দেয় সফলতার প্রান্তে। কিন্তু বর্তমান সমাজে পরীক্ষার ফলাফলকেই জীবনের একমাত্র সফলতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ফল খারাপ হলে সমাজ, পরিবার ও আশপাশের মানুষদের কাছ থেকে আসতে থাকে অপমানজনক মন্তব্য, যা শিক্ষার্থীর মনে সৃষ্টি করে অসহনীয় চাপ। এর ফলে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ডুবে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। অথচ একজন মানুষ তার চরিত্র, পরিশ্রম, মানসিক দৃঢ়তা ও মানবিক গুণাবলির মাধ্যমে সফল হতে পারে। শুধু নম্বর বা সনদ তার সামগ্রিক সফলতা নিশ্চিত করে না। একজন ব্যর্থ শিক্ষার্থীও ঘুরে দাঁড়াতে পারে, শুধু যদি সে পায় একটু উৎসাহ ও সহানুভূতি। একটি সহানুভূতির হাত তার জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে নতুন আলো। কিন্তু আমরা অনেক সময় তাদের ঠেলে দেই অন্ধকারের দিকে। তাই আসুন, আমরা দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই। পরীক্ষার ফলাফলকে জীবনের মাপকাঠি না বানিয়ে শিক্ষার্থীর মানসিক সুস্থতা, প্রচেষ্টা ও মনোবলকে গুরুত্ব দিই। মনে রাখি, একটি ছোট উৎসাহ অনেক বড় সফলতার চাবিকাঠি হতে পারে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া