ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের জটিল বাস্তবতা

মো. শামীম মিয়া
প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের জটিল বাস্তবতা

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের কর্মসংস্থান ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশের যুবসমাজের উল্লেখযোগ্য অংশ- যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ- চাকরির বাজারে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই একটি দ্বন্দ্বপূর্ণ বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রেক্ষাপটে এ বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তরুণদের শ্রমবাজারে অবস্থান, দক্ষতা, উদ্ভাবনী সক্ষমতা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অংশগ্রহণের সূচক যদি বিশ্লেষণ করি, দেখা যায় যে বাংলাদেশে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়োগ-সংক্রান্ত সুযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন এবং শিল্প খাতের সঙ্গে সংযোগের অভাবে ক্রমশ marginalized হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৫-২৯ বছর বয়সি যুবসমাজের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ। এই বিশাল সংখ্যক যুবসংখ্যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এক বিশাল সম্ভাবনার দিকনির্দেশ করে। যুবসমাজ, যে তাদের উদ্ভাবনী শক্তি, শৈল্পিক দক্ষতা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে, যদি তারা সঠিক ক্যারিয়ার গাইডেন্স, দক্ষতা ও কার্যকর কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। কিন্তু বাস্তবতায়, শ্রমবাজারে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তারা একটি কঠিন দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ছে। প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষাধিক তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও তাদের অধিকাংশই বাজার-উপযোগী দক্ষতার অভাব, যেমন- প্রযুক্তি, সফট স্কিলস, নেতৃত্ব এবং ভাষাগত সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে শ্রমবাজারের অপ্রতিসম্য সমন্বয় এই সমস্যার মূল কারণ।

শ্রমশক্তি জরিপ (২০২৩) অনুযায়ী, দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৩.৫ শতাংশ এবং যুব বেকারত্বের হার ৭.২ শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৯৪ লাখ যুব বেকার রয়েছেন। গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্ব তুলনামূলকভাবে কম হলেও শহরাঞ্চলে, বিশেষত নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্য। এছাড়া অপ্রতুল কর্মসংস্থান এবং নিট (Not in Education, Employment, or Training) জনগোষ্ঠীর হারও উদ্বেগজনক। দেশের প্রায় ২ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ অপ্রতুল কর্মসংস্থানে যুক্ত, যার ৬০ শতাংশ ১৫-২৯ বছর বয়সী। নিট-এর মধ্যে তরুণদের হার ৩০.৯ শতাংশ, যার উল্লেখযোগ্য অংশ নারী। এই তথ্য নির্দেশ করে যে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ব্যর্থ।

শিক্ষিত বেকারত্বের পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। প্রতি বছর বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। শ্রমশক্তি জরিপ (২০২২) অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ এবং শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। বিশেষত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা আরও উদ্বেগজনক। প্রতি বছর ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ থেকে প্রায় ৬ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে; কিন্তু মাত্র ২১ শতাংশ চাকরি পায় এবং ৬৬ শতাংশের বেকারত্ব তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।

নারী যুবকের তুলনায় বেকারত্বের হার বেশি। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্ব সর্বাধিক। এর কারণ হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার সঙ্গে শ্রমবাজারের চাহিদার মধ্যে গভীর ফারাক। উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেটই একমাত্র যথেষ্ট নয়; সফট স্কিলস যেমন: কমিউনিকেশন, নেতৃত্ব, ভাষা দক্ষতা- এগুলির ঘাটতিও যুবদের চাকরির বাজারে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে।

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির প্রসার, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং বিশ্বায়ন চাকরির ধরন ও চাহিদায় পরিবর্তন এনেছে। কোভিড-১৯-এর প্রভাবে অনলাইন ও রিমোট কাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন ডিজিটাল দক্ষতায় বিশ্বব্যাপী ১৭ কোটি নতুন চাকরির সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, পুনরাবৃত্তিমূলক, ম্যানুয়াল ও দাপ্তরিক পেশা বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলো হলো ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, হিসাবরক্ষক সহকারী, অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেলিমার্কেটার এবং অন্যান্য পুনরাবৃত্তিমূলক অফিস কার্য। এই পরিবর্তনের ফলে দক্ষতাভিত্তিক নতুন প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশেও নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। সোলার টেকনিশিয়ান, ট্যুর গাইড, ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ, কাস্টমার সাপোর্ট, কনটেন্ট নির্মাতা, ডিজিটাল মার্কেটার, রিমোট কাজ, ফ্রিল্যান্সিং এবং ডেটা অ্যানালিস্টের মতো পেশায় তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইনক্যাসেল পার্টনার্সের ২০২৩ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, রিটেইল, ব্যাংকিং, ই-কমার্স, রিয়েল এস্টেট ও বায়োটেক খাতে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিনিয়োগের অভাব এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কিছু খাতে যুবদের কর্মসংস্থান চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।

যুবদের চাকরির বাজারের এই দ্বন্দ্বপূর্ণ বাস্তবতা সমাধানের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। স্বল্পমেয়াদে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্ত যুবদের জন্য অনুদান এবং নারীদের কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা জরুরি। মধ্যমেয়াদে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্প খাতের সংযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। কারিকুলাম আধুনিকায়ন, ইন্টার্নশিপ ও অ্যাপ্রেনটিচশীপ কার্যক্রমকে কার্যকর করা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষণার্থীরা হাতে-কলমে শিল্পক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা নীতি, দক্ষতা উন্নয়ন নীতি এবং শিল্পনীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা ও যথাযথ বাজেট বরাদ্দ প্রদান অপরিহার্য।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ছাড়াও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং স্টার্টআপ সংক্রান্ত কর্মসূচি যুবদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট নির্মাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান নয়, বরং জাতীয় অর্থনীতির উদ্ভাবনী শক্তিও বৃদ্ধি করে।

নারী কর্মসংস্থানের প্রসার বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। নারী যুবকের কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ শুধু সামাজিক সমতার বিষয় নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বৃহৎ উৎস। নারী শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং নারী-উদ্দেশ্যমূলক কর্মসংস্থান প্রকল্প জরুরি।

উচ্চশিক্ষিত তরুণদের দক্ষতার সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের সামঞ্জস্য স্থাপন অপরিহার্য। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যাতে শিক্ষার সঙ্গে চাকরির বাজারের চাহিদার মিল ঘটানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, সফট স্কিলস, প্রযুক্তি দক্ষতা এবং ভাষাগত দক্ষতার ওপর লক্ষ্যনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা যেতে পারে। বর্তমান বিশ্বে যুবসমাজের কর্মসংস্থানের চাহিদা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে বাংলাদেশের যুবদের বৃহৎ সম্ভাবনা বঞ্চিত হবে। তাই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে সংযোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা, নারী কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষিত বেকারদের জন্য কার্যকর প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগকে অগ্রাধিকার

প্রাধান্য দিতে হবে। শুধু চাকরির সংখ্যা বৃদ্ধি করলেই হবে না; চাকরির গুণগত মান, টেকসই কর্মসংস্থান এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রসার নিশ্চিত করতে হবে। যুবদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও আধুনিক বাজার-উপযোগী জ্ঞান বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। একই সঙ্গে নতুন শিল্পক্ষেত্র, স্টার্টআপ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্যোগের প্রসারে যুবদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

উচ্চশিক্ষিত যুবকদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, শিক্ষাগত যোগ্যতা শুধু একটি সার্টিফিকেট নয়, বরং বাজার-উপযোগী দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় যুবদেরকে শুধু চাকরি পাওয়ার যোগ্য করে না, বরং তাদের উদ্ভাবনী এবং উদ্যোক্তা শক্তি বিকাশে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ইন্টার্নশিপ, অ্যাপ্রেনটিচশীপ এবং শিল্পক্ষেত্রে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং ক্ষতিগ্রস্ত যুবদের জন্য বিশেষ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদে বেকারত্বের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। মধ্যমেয়াদে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের সংযোগ, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন, ইন্টার্নশিপের সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা নীতি, দক্ষতা উন্নয়ন নীতি এবং শিল্পনীতির যথাযথ বাস্তবায়ন ও বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের প্রসার, উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য কার্যকর প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুবজনসংখ্যার শক্তিকে কাজে লাগানো সম্ভব। উদ্ভাবনী উদ্যোগ, স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পখাতকে উৎসাহিত করা গেলে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। চাকরির বাজারে তরুণদের অবস্থান আজ সংকটময়, তবে সঠিক নীতি, বাস্তবমুখী পরিকল্পনা এবং যুগোপযোগী দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এটি সম্ভাবনাময় ও সৃষ্টিশীল বাস্তবতায় রূপান্তরিত করা সম্ভব। যুবসংখ্যার শক্তি এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। সরকারের, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের যুব জনমিতির সম্ভাবনাময় সুফল ঘরে তোলা সম্ভব।

সর্বশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের যুব জনগোষ্ঠীর বিপুল সম্ভাবনা এক ধরনের ‘সোনার সম্ভাবনা’। তবে এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হলে রাষ্ট্রীয় নীতি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণব্যবস্থা, শিল্প খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক সুরক্ষাব্যবস্থা একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং সমন্বিত দক্ষতা উন্নয়নই আগামী দিনের বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনী ও অর্থনৈতিকভাবে সুপ্রস্ফুটিত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

যুবদের কর্মসংস্থানের সংকট ও সম্ভাবনা সমাধান করা শুধু একটি অর্থনৈতিক দায় নয়, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জাতির দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায় যুবদের যথাযথ নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী মনোভাব এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী, সৃজনশীল ও স্বাবলম্বী জাতি গড়ে তোলা সম্ভব।

লেখক: কলামিস্ট আমদিরপাড়া জুমারবাড়ী, সাঘাটা, গাইবান্ধা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত