প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয়। জাতিসংঘের অধীনস্থ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে সকল সদস্য দেশে এটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা। এছাড়াও, পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এ দিবসের অন্যতম লক্ষ্য। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন এবং টেকসই রূপান্তর’ (Tourism and Sustainable Transformation), যা টেকসই পর্যটন অবকাঠামো ও প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে, যাতে পরিবেশ সংরক্ষিত থাকে এবং স্থানীয় সম্প্রদায় ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। সংক্ষেপে, বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫-এর এই প্রতিপাদ্যটি পর্যটনকে পরিবেশ ও সমাজের জন্য উপকারী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি নতুন পথের দিশা দেখায়, যা একটি সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস ‘গ’ শ্রেণির পরিবর্তে ‘খ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদ।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থা বা ইউএনডব্লিউটিও (World Tourism Organization) স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। সংস্থাটি বিশ্ব পর্যটন র্যাঙ্কিং করে থাকে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UN Tourism)-এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১১৯টি অর্থনীতির মধ্যে ১০৯তম স্থান অধিকার করে, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সর্বশেষে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য সুনির্দিষ্ট র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়নি, তবে বিশ্ব পর্যটন ব্যারোমিটার অনুসারে ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটক ৫% প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। এই ধাপে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যটনের স্পটগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ আমরা জেনে নিতে পারি- এদেশের শীর্ষ পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার (বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত), সুন্দরবন (বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন), সাজেক ভ্যালি (পাহাড় ও মেঘের নয়নাভিরাম রূপ), কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ, সিলেটের জাফলং ও বিছানাকান্দি এবং প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে সোমপুর মহাবিহার, ষাট গম্বুজ মসজিদ ও আহসান মঞ্জিল উল্লেখযোগ্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেন্দ্র : কক্সবাজার-পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্রসৈকত এবং বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে পরিচিত। সুন্দরবন: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। সাজেক ভ্যালি-রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটি পাহাড়, মেঘ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দরে্যর জন্য বিখ্যাত। সেন্টমার্টিন-বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যেখানে স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও প্রবাল প্রাচীর দেখা যায়।
কুয়াকাটা : এটি একটি অন্যতম সুন্দর সমুদ্রসৈকত, যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই উপভোগ করা যায়। সিলেটের জাফলং ও বিছানাকান্দি-পলিমাটি ও পাথরের কারণে সৃষ্ট অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। টাঙ্গুয়ার হাওর-সুনামগঞ্জ জেলার একটি বিশাল হাওর এলাকা, যা নয়নাভিরাম ও মনোরম। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র: সোমপুর মহাবিহার-পাহাড়পুরের এই বৌদ্ধ বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। ষাট গম্বুজ মসজিদণ্ডবাগেরহাটে অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ও বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। আহসান মঞ্জিল- ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ ও জাদুঘর। লালবাগ কেল্লা- ঢাকার একটি প্রাচীন মুঘল দুর্গ। পানাম নগর- নারায়ণগঞ্জের একটি পরিত্যক্ত ঔপনিবেশিক শহর।
পৃথিবীর অধিকাংশ খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ এবং কবি সাহিত্যিকরা ছিলেন ভ্রমণপিপাসু। ভ্রমণবিষয়ে তাদের মূল্যবান উক্তির মধ্যেকার কয়েকটি নিম্নে তুলে দেওয়া হলো- ভ্রমণ প্রথমে তোমাকে নির্বাক করে দেবে, তারপর তোমাকে গল্প বলতে বাধ্য করবে। ইবনে বতুতা। ‘বিশ্ব একটি বই এবং যারা ভ্রমণ করে না, তারা শুধু একটি পৃষ্ঠাই পড়ে।’ সেন্ট অগাস্টিন। আজ থেকে ২০ বছর পর তুমি যে কাজগুলো করতে পারোনি, সেগুলো করতে না পারার জন্য বেশি হতাশ হবে। ‘মার্ক টোয়েন’। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান আসে, ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বোধগম্যতা আসে। পর্যটন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘পৃথিবী ভ্রমণ করা মানে জীবনকে জানা’। একটি শহর দেখা মানে দশটি বই পড়ার সমান-সীতাংশু শেখর বসু।
আমাদের জীবনে ভ্রমণ করার গুরুত্ব অপরিসীম। ভ্রমণ আমাদের জীবনের নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। এটি আমাদের চরিত্র গঠনে সহায়ক এবং জীবনকে সমৃদ্ধ করে। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, নতুন অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনের সেরা সম্পদ এবং এই মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়, তা কোনো বইয়ে পাওয়া যায় না। ভ্রমণ আমাদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। ভ্রমণ জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে এবং বেঁচে থাকার এক নতুন উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে। একা বা দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ মানুষকে আরও স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। নতুন মানুষের সঙ্গে মিশে যোগাযোগ ও ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জিনিস শেখা যায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান ও সংস্কৃতির সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নতুন স্থান ও সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা মানুষের সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে। ভ্রমণের সময় শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ে, যা শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মাধ্যমে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা উন্নত হয়। ভ্রমণ মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং একঘেঁয়েমি দূর করে মনকে শান্ত ও সতেজ করে তোলে। এ পর্যায়ে উপস্থাপন করছি আমার নিজের অভিব্যক্তি ও অভিজ্ঞতা। আমার কাছে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এক দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে ভ্রমণার্থী আমার তো মনে হয় না। বিপরীতে স্বয়ং ভ্রমণকারী অস্বীকার করলে অসংগতি হবে। তবে এ সত্তা এককভাবে দর্শনার্থী মানদ-ে ঘুরে বেড়ানোর কোনো প্রমাণপত্র নেই বললেই চলে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে (মাদকবিরোধী কার্যক্রমে) আমি এরইমধ্যে ৫৬টি রাষ্ট্রভ্রমণ সম্পন্ন করেছি। মানে পেশাগত কাজের জন্য সর্বত্র আমাকে পেরিয়ে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যেও একই নিমিত্ত বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলা বিচরণ করার অদৃষ্টের আনুকূল্য হয়েছে আমার। ভ্রমণকালে কার্যদিবসে পেশাগত দায়িত্ব সম্পন্ন করে, একটু অবকাশ পেলেই অবিলম্বে শহর, প্রবাহিনী, নগরী ও বন্দর অবলোকন করতে বেরিয়ে পরি। তবে নিজের ক্ষেত্রে বলা চলে রথ দেখতে গিয়ে কলা বিক্রি করা। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটন বিষয়ে আমার মতামত জানাতে গেলে কেউবা প্রাসঙ্গিকভাবেই বলতে পারেন আমি প্রকৃত পর্যটক নই। যে সকল বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণকালীন আমাকে দেখেছেন, তারা আমার উপরে খুবই অখুশি হয়েছেন। যেহেতু আমি প্রতিনিয়ত পেশাগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাদের কথায় সাড়া দিয়ে তাদের সহযোগে ঘোরাঘুরি করার আমার অবকাশ হয়নি। তাই যথার্থভাবেই আমি প্রকৃত পর্যটক নয়। দেশ-বিদেশ ঘোরার জ্ঞান থেকে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প সম্বন্ধে আমার যা কিছু জ্ঞান লাভ হয়েছে, উহা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করছি।
বাংলাদেশের পর্যটকদের বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এদেশে প্রকৃত পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। কারণ আমি বিভিন্ন দেশে গিয়ে নন ইমিগ্রান্ট বা টেম্পোরারি ভিজিট ভিসা নিয়ে যাদের ঘুরতে দেখেছি, তাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ শতাংশ মূলত উন্নত বিশ্বে পাড়ি দিয়ে, ওইসব দেশে অবৈধভাবে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার নিমিত্ত পাসপোর্টে কয়েকটা দেশের ভিসা স্টিকার ও সিল নেওয়ার জন্য ঘুরতে যান। এ কারণে অনেকে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশভ্রমণ করেন। এতে প্রতিবছর বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়। ব্যক্তিগতভাবে ভিসা প্রত্যাশীগণ ও ক্ষতিগ্রস্ত হন। যেমন অনেকে অর্থ সাশ্রয় করতে গিয়ে তিন দিনে তিন দেশভ্রমণ করেন। অনেকে আবার নিজ দেশে দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ না করে কয়েকটি দেশভ্রমণ করে উন্নত বিশ্বের পর্যটন ভিসাপ্রত্যাশী হন। ভিসা অফিসার যখন প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের কোনো কোনো স্থানে বেড়াতে গেছেন, বর্ণনা জিজ্ঞেস করেন?
তখন তিনি উত্তর দিতে ব্যর্থ হন এবং তার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়। কেউবা আবার কয়েকটি দেশভ্রমণ করার পর কোন এক দেশে গিয়ে এমন এক ভুল করে বসেন, তখন ডিপোট সিল তার পাসপোর্টে লেগে যায় এবং পরবর্তী প্রত্যাশিত দেশের ভ্রমণভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। অনেকে আবার কোন একটি দেশে পর্যটক হিসেবে ভিসা নিয়ে গিয়ে আচরণবিধ লঙ্ঘন করেন। কেউবা বিভিন্ন দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। যা পরবর্তী সময়ে সকল বাংলাদেশী ভিসাপ্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি বাংলাদেশের পাসপোর্ট রেটিং নিম্নপর্যায়ে হওয়ায় অধিকাংশ ভিসাপ্রত্যাশী ভিসা হতে বঞ্চিত হন। অন্যদিকে বাংলাদেশ হাই কমিশন-কনস্যুলেট প্রায় সকল দেশে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা ইস্যু করতে বিলম্বসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে।
বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে প্রধান দৈন্যতাগুলো হলো- পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়নের অভাব রয়েছে। পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, যেমন- উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, আবাসন এবং অন্যান্য সহায়ক অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব একটি বড় সমস্যা। দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাব রয়েছে, যার ফলে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা কঠিন হয়। বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং তাদের আতিথেয়তার মান উন্নত না হওয়ায় তারা এখানে ভ্রমণ করতে নিরুৎসাহিত হন। পর্যটকদের চাহিদা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি কার্যকর পর্যটন নীতি এবং তার সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। এসব কারণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ক্রমাগতভাবে মুখ থুবরে পড়ছে। অনেক দেশ পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে নিজেদেরকে বিশ্ব দরবারে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যর্থ। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও, উপরের দৈন্যতাগুলোর কারণে এই শিল্পটি সেভাবে বিকশিত হতে পারছে না। পর্যটন খাতের সঠিক বিকাশে এইসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে অবিলম্বে সুসমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সর্বোপরি- ‘ভ্রমণ হলো জীবনের সেরা বিনিয়োগ।’ সময় এবং আর্থিক সঙ্গতি থাকলে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল