ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভাজন শিক্ষাগত বৈষম্যকে গভীর করছে

মো. নূর হামজা পিয়াস
পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভাজন শিক্ষাগত বৈষম্যকে গভীর করছে

শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো- মনকে মুক্ত করা, মানুষকে চিন্তাশীল ও নৈতিক করে তোলা। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা নিজেই এক নতুন বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যে অদৃশ্য বিভাজন গড়ে উঠেছে, তা সমাজে এক ধরনের মানসিক ও বৌদ্ধিক ফাটল সৃষ্টি করেছে। এখন একজন শিক্ষার্থীর মেধা বা যোগ্যতা নয়, বরং সে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছে, সেটাই যেন তার মূল্য নির্ধারণ করছে। শিক্ষা আর আলোকিত করার মাধ্যম নয়, বরং মর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই প্রবণতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মননে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

এই বৈষম্যের শিকড় সমাজের গভীরে প্রোথিত। একজন শিক্ষার্থী যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন সেটি জাতীয় গর্বের মুহূর্ত হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু কেউ যখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন সমাজের দৃষ্টিতে তার অবস্থান একধাপ নিচে নেমে যায়। আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশীরা মনে করেন, সে মেধায় পিছিয়ে পড়েছে। অথচ বাস্তবে অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় শুধুমাত্র সীমিত আসনের কারণে বা অন্য কোনো বাস্তব সমস্যার জন্য। এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু বৈষম্যই নয়, শিক্ষার প্রতি একটি ভুল মনোভাবকেও জিইয়ে রাখছে।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঐতিহাসিক ভূমিকা নিঃসন্দেহে অপরিসীম। এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয় আন্দোলন, বৌদ্ধিক বিকাশ ও নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কিন্তু সেই ঐতিহ্যের অহংকার এখন অনেক ক্ষেত্রে এক ধরনের শ্রেণিগত শ্রেষ্ঠত্বে রূপ নিয়েছে। অন্যদিকে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আধুনিক অবকাঠামো ও সুযোগের কারণে নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবতে শুরু করেছে। এই দুই মানসিকতার সংঘর্ষ শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে বিকৃত করছে এবং সমগ্র একাডেমিক পরিবেশে প্রতিযোগিতার বদলে বিভাজন তৈরি করছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও সেশন জট, শিক্ষক সংকট ও গবেষণার অভাব বড় সমস্যা হিসেবে রয়েছে। অন্যদিকে, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণের কারণে শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাম্প্রতিক ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই একাডেমিক মান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এই বাস্তবতা স্পষ্টভাবে দেখায় যে, কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতাই মূলত বিভাজনের জন্ম দিচ্ছে। শিক্ষায় গুণগত মান নিশ্চিত না করলে কোনো পক্ষই এগিয়ে থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশে এখনও পরিবারগুলো শিক্ষার মানকে প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে বিচার করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মানেই মেধাবী, আর বেসরকারি মানেই সুবিধাভোগী এই মানসিকতা সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায়শই আত্মসম্মানবোধে আঘাত পায়। অথচ তাদের অনেকেই কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করে, নিজের টিউশন নিজেই চালায়। এটি তাদের আত্মনির্ভরশীলতার প্রমাণ। কিন্তু সমাজের চোখে এই বাস্তবতা মূল্যায়িত হয় না, বরং কুসংস্কারই বেশি প্রাধান্য পায়।

গণমাধ্যম এই বিভাজনকে অনিচ্ছাকৃতভাবে আরও গভীর করছে। সংবাদপত্র বা টেলিভিশনে দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনগুলোকে বড় করে তুলে ধরা হয়; কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন বা আন্তর্জাতিক সাফল্য প্রায়শই আড়ালে থেকে যায়। ২০২৫ সালে ইউজিসি প্রকাশিত এক জরিপ অনুযায়ী, গত তিন বছরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৪৮ শতাংশই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে; কিন্তু তাদের প্রচার ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। এই বৈষম্য গণমাধ্যমেরও আত্মসমালোচনার দাবি রাখে।

এই বিভাজনের মানসিক প্রভাব ভয়াবহ। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিজেদের ‘কম যোগ্য’ ভাবতে শুরু করে। আবার অনেক পাবলিক শিক্ষার্থী অহংকারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে, যা তাদের সহযোগিতামূলক মনোভাবকে ক্ষুণ্ণ করে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মানসিক দূরত্ব যুবসমাজের মধ্যে অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি করছে। জাতীয় ঐক্য গঠনের বদলে তারা বিভক্ত হয়ে পড়ছে, যা সামাজিক অগ্রগতির জন্য বড় প্রতিবন্ধক। এই অবস্থায় তরুণদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সম্মিলিত দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা জরুরি।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারিত হয় মালিকানার ভিত্তিতে নয়, গবেষণা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনের ভিত্তিতে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানই কঠোর মানদ-ে পরিচালিত হয়। ২০২৫ সালের গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বেসরকারি, কিন্তু সেগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমানভাবে শ্রদ্ধেয়। বাংলাদেশেও যদি মানের ভিত্তিতে শিক্ষার মূল্যায়ন করা যেত, তাহলে এই বিভাজন এত তীব্র হতো না।

শিক্ষা নীতিনির্ধারক এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচিত একটি একীভূত মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, গবেষণা তহবিল এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে। ২০২৫ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুযায়ী, গবেষণার জন্য বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০.২৩ শতাংশ, যা ভারতের তুলনায় তিনগুণ কম। এই বাস্তবতা পরিবর্তন না করলে একাডেমিক উৎকর্ষ কল্পনাতীত। শিক্ষার উদ্দেশ্য যেন রাজনীতি বা বাণিজ্যের শিকার না হয়, সে দিকেও কঠোর নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যাপক ভর্তুকি পায়, ফলে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাব্যয় নামমাত্র থাকে। অন্যদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অর্থ নিজেরাই বহন করে। এই ভর্তুকি নীতিগতভাবে প্রয়োজন হলেও, এর ফলে একটি মানসিক বিভেদ সৃষ্টি হয় যেখানে পাবলিক শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যবহারের অহংকার করে, আর বেসরকারি শিক্ষার্থীরা শুধু অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা কেনার তাগিদ অনুভব করে। সরকারের উচিত হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্পন্ন গবেষণা ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষ ভর্তুকি প্রদান করা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষার পরিবেশকে বহু বছর ধরে নষ্ট করছে। দলীয় কোটা, ছাত্ররাজনীতি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ একাডেমিক ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করছে। অন্যদিকে, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার চেয়ে টিউশন ফি-ই প্রধান বিবেচ্য। এই দুই প্রান্তের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। শিক্ষাকে একটি নিরপেক্ষ ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেধার বদলে সুযোগের প্রতিযোগিতায় হারিয়ে যাবে।

বাংলাদেশের নিয়োগকর্তাদের অনেকেই এখনো প্রতিষ্ঠান দেখে প্রার্থী বাছাই করেন, দক্ষতা নয়। এটি পরিবর্তনের সময় এসেছে। একজন শিক্ষার্থী কোথায় পড়েছে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে কী শিখেছে এবং কীভাবে তা প্রয়োগ করতে পারে। শ্রমবাজারে দক্ষতার ঘাটতির কারণে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১৭ লাখ তরুণ বেকার রয়েছে (বিবিএস, শ্রম জরিপ ২০২৫)। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরণ নয়, বাস্তব দক্ষতা ও সৃজনশীল চিন্তাই হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি।

পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি পরস্পর প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতায় মনোযোগ দেয়, তাহলে তারা জাতির শক্তিতে পরিণত হতে পারে। দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথে, যেখানে ডিজিটাল দক্ষতা, উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একে অপরের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনের পথ তৈরি হতে পারে। তরুণদের ঐক্যই হতে পারে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় অনলাইন শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার দিকে ঝুঁকিতে বাধ্য হয়েছে। এটি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঠদান পদ্ধতির একতা আনার একটি সুযোগ তৈরি করেছে। উন্নতমানের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, কোর্স ম্যাটেরিয়াল এবং শিক্ষকের অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রামীণ বা মফস্বলের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৈশ্বিক মানের শিক্ষায় প্রবেশাধিকার দিতে পারে। সরকার ও ইউজিসির উচিত একটি জাতীয় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যাতে উভয় প্রকারের শিক্ষকের শ্রেষ্ঠ লেকচার সব শিক্ষার্থীর কাছে সমানভাবে পৌঁছানো যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি হলো- গবেষণা, কিন্তু বাংলাদেশে পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় খাতেই গবেষণার পরিমাণ ও গুণগত মান হতাশাজনক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যাপ্ত তহবিল সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভুগছে, আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাণিজ্যিকীকরণের কারণে গবেষণায় বিনিয়োগে অনাগ্রহী। এই সমস্যার সমাধানে ইউজিসিকে একটি নিরপেক্ষ ‘গবেষণা মানদ- পর্যবেক্ষণ সংস্থা’ হিসেবে কাজ করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্নালগুলোতে প্রকাশনা, পেটেন্ট অর্জন এবং সামাজিক প্রভাবের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাঙ্কিং ও বিশেষ তহবিল প্রদান করা আবশ্যক। এটি বিভাজনকে অতিক্রম করে গুণগত শ্রেষ্ঠত্বকে উৎসাহিত করবে।

নিয়োগকর্তারা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাও চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে আসে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেশনজট ও তাত্ত্বিক শিক্ষায় আটকে থাকে, আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত কোর্স শেষ করার দিকে মনোযোগী হয়। এই ‘স্কিল গ্যাপ’ দূর করতে হলে, উভয় প্রকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে পেশাদারী সার্টিফিকেশন কোর্স যেমন- ACCA, PMP, CISCO -এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। শিল্পের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই যৌথ প্রোগ্রামগুলো শিক্ষাকে বাজারমুখী করবে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নামের চেয়ে অর্জিত দক্ষতার গুরুত্ব বাড়াবে।

শিক্ষানীতি শুধু পাঠ্যক্রমের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরির মাধ্যম। তাই শিক্ষাব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও সামাজিক ন্যায়বোধের চর্চা জরুরি। ২০২৫ সালে যখন সমাজ ক্রমেই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, তখন এই মানবিক শিক্ষা তরুণদের শুধু পেশাগত নয়, নৈতিক দিক থেকেও সমৃদ্ধ করবে। সরকারকে উচিত হবে শিক্ষার সংস্কারে এমন নীতি গ্রহণ করা, যা সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে।

শিক্ষার উদ্দেশ্য মর্যাদার প্রতিযোগিতা নয়, মানবিক উন্নয়ন। কেউ প্রাচীন পাবলিক ক্যাম্পাসে পড়ুক, কেউ আধুনিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত, জ্ঞান ও সততার মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎনির্ভর করছে, সেই দিনের উপর, যেদিন আমরা পাবলিক বনাম প্রাইভেট বিভাজন ভুলে গিয়ে শিক্ষাকে এক ও অভিন্ন সম্পদ হিসেবে দেখব। শিক্ষার্থীর মূল্য তার প্রতিষ্ঠান নয়, তার অবদান দ্বারা নির্ধারিত হবে। সেই দিনই হবে বাংলাদেশের শিক্ষার প্রকৃত বিজয়।

মো. নূর হামজা পিয়াস

কলামিস্ট ও সমাজকল্যাণ বিশ্লেষক এবং শিক্ষার্থী আইন বিভাগ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত