ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

স্পর্শকাতর স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন

ড. মো: আনোয়ার হোসেন
স্পর্শকাতর স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন

বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাগুলো ঘটেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ, ঢাকার মিরপুর এবং চট্টগ্রামের ইপিজেড-এ। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দেশজুড়ে শিল্প-কারখানা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যা মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে কতক অগ্নিকাণ্ডকে নিছক দুর্ঘটনা মনে করা হচ্ছে না, বরং এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর স্থানে এই অগ্নিকাণ্ডে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে নানা মহল থেকে। এই ঘটনাটি বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোকে আবারও সবার সামনে তুলে ধরেছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা আপনজনকে হারিয়েছেন, কেউবা আদরের শিশুটিকে হারিয়েছেন, পাখির মত হৃদয় নিয়ে ওরা মরে গেছে। বাবা-মাকে রেখে গেছে শুধু মনে রাখতে ওরা কখনও জন্মে ছিল। যারা শোকে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না- আপনাদের বলছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, আমি গভীর শোক জানাই সেই সব পরিবারকে। যারা আহত হয়েছেন, তাদের জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে দোয়া- যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই শোক শুধু আপনাদের না, এটা আমাদের সবার। আমরা একসঙ্গে কাঁদছি- ন্যায়, নিরাপত্তা আর মানুষ হিসেবেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯ অক্টোবর কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ১৭ অক্টোবর বিকেলে ইপিজেডের অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ১৭ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছিল। সাম্প্রতিক একটি অগ্নিকাণ্ড ছিল মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে, যেখানে ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং অনেকেই আহত হন। উপরোক্ত তিনটি অগ্নিকাণ্ডের পূর্বে সাম্প্রতিক সংগঠিত হৃদয় বিধায়ক আরো কিছু অগ্নিকাণ্ড হলো : ২১ জুলাই উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শেখায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হওয়ায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। যেহেতু বিমান দুর্ঘটনা মানেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মানুষের জীবনের মূল্য না দেওয়ার ফলে যুগের পর যুগ ধরে ঢাকার আকাশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের মহড়া চলছে। এমন কার্যক্রম কি রাজধানী এড়িয়ে চালানো সম্ভব নয়? বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকা, প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪৪,০০০ মানুষ বসবাস করে। এপ্রিল ২০২৩, ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেট অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় অসংখ্য দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। মার্চ ২০২৪, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রেও আগুন লেগেছে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে, যা উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশ অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত¡না দেওয়ার লক্ষ্যে পৃথিবীতে সংঘটিত কয়েকটি বৃহত্তম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

১৮৭১ সালে উত্তর আমেরিকার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল। একই দিন গ্রেট শিকাগো ফায়ার শুরু হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ১.২ মিলিয়ন একর (প্রায় ৪,৮৫৬ বর্গকিলোমিটার) জমি। এর কারণে উইসকনসিনের পেস্টিগো শহরের পাশাপাশি আরও ১২টি জনপদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছিল।

১৯৮৭ সালে চীনের উত্তর-পূর্বের গ্রেটার খিংগান পর্বতমালা ও সাইবেরিয়ার তাইগা বনের মধ্য দিয়ে এই দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় ২.৫ মিলিয়ন একর (প্রায় ১০,১০০ বর্গকিলোমিটার) বনভূমি পুড়ে গিয়েছিল। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।

২০০৩ সালে রাশিয়ার সাইবেরিয়ান তাইগা অগ্নিকাণ্ড ছিল আধুনিক ইতিহাসে সংঘটিত বৃহত্তম অগ্নিকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে ৫৫ মিলিয়ন একর (প্রায় ২,২২,৫৭৭ বর্গকিলোমিটার) এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। ২০১৯-২০ সালের অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলে ৪২ মিলিয়ন একর (প্রায় ১,৭০,০০০ বর্গকিলোমিটার) জমি পুড়ে গিয়েছিল। এতে শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল এবং কয়েক বিলিয়ন বন্যপ্রাণীর জীবনহানি ঘটেছিল।

১৬৬৬ সালের গ্রেট ফায়ার অফ লন্ডন অগ্নিকাণ্ডে ১৩,২০০টি বাড়ি এবং ৮৭টি প্যারিশ চার্চ পুড়ে গিয়েছিল। এতে প্রায় ৮৫% মানুষকে গৃহহীন করেছিল। ১৮২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত এই মিরামিচি দাবানলটি প্রায় ৩০,০০,০০০৩০ মিলিয়ন একর জমিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে কমপক্ষে ১৬০ জন মারা যান।

শরীরে আগুনে দগ্ধ হওয়ার ক্ষত সবচেয়ে কষ্টদায়ক হওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল : ত্বকের উপরের স্তরের নিচে থাকা ব্যথা সংবেদী স্নায়ু প্রান্তগুলো আগুনে পুড়ে গেলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথম মাত্রার পোড়ায় শুধু ত্বকের বাইরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা অনুভূত হয়। দ্বিতীয় মাত্রার পোড়ায় ত্বক ও তার নিচের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধরনের পোড়া সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক হতে পারে, কারণ স্নায়ুগুলো অক্ষত থাকে; কিন্তু উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তৃতীয় ও চতুর্থ মাত্রার পোড়ায় ত্বক, পেশি এবং হাড় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেহেতু স্নায়ুগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, তাই ক্ষেত্রবিশেষে এখানে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না। পোড়া ক্ষত নিরাময়ের সময়ও ব্যথার কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, স্নায়ুর পুনঃসৃজনের সময়ও অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে। পোড়া ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। সংক্রমণের কারণে প্রদাহ আরও বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। শারীরিক ব্যথার পাশাপাশি আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা মানসিক ট্রমারও সৃষ্টি করে, যা ব্যথার অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো: বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণগুলো হলো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গ্যাস লিক, অবহেলা এবং দুর্বল অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২০২৩ সালে দেশে ঘটা ২৭,৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ৩৫.৫২% বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, ১৭.৭৬% জ্বলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে এবং ১৫.১১% চুলা থেকে সৃষ্ট হয়েছিল। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হলো- বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের সবচেয়ে বড় কারণ। নিম্নমানের তার, অতিরিক্ত লোড, দুর্বল সংযোগ এবং অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা প্রায়ই শর্ট সার্কিট ঘটায়। অগ্নিকাণ্ড হতে সুরক্ষা পেতে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিম্নে উল্লেখ করা হলো- বৈদ্যুতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অগ্নিকাণ্ডের একটি অন্যতম কারণ। ভালো মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তার বা সংযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিটি যন্ত্রের জন্য একটি আলাদা সকেট ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত বৈদ্যুতিক তার ও সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে এবং পুরানো বা ক্ষতিগ্রস্ত তার বদলে ফেলতে হবে। ভবনে যথাযথ ফিউজ এবং সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা উচিত, যা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে সুরক্ষা দেবে। ভবনে পর্যাপ্ত সংখ্যক জরুরি নির্গমন পথ থাকতে হবে, যা সবসময় পরিষ্কার ও খোলা রাখতে হবে। ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র এবং স্প্রিঙ্কলার সিস্টেমের মতো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। ভবনের নকশা করার সময় আগুন প্রতিরোধক নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা উচিত।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আগুন

সৃষ্টিকর্তা আগুন এবং পানির শাস্তি নিজ হাতে রেখেছেন- এই ধারণাটি মূলত ইসলামী বিশ্বাস থেকে এসেছে এবং এর ভিত্তি হলো- একটি হাদিস। এই ধারণা অনুযায়ী, আগুন ও পানি দ্বারা শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা শুধু মহান আল্লাহতায়ালারই রয়েছে। হাদিস অনুসারে, মহানবী (সা.) আগুন দিয়ে কোনো জীবকে শাস্তি দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আগুনের রব বা সৃষ্টিকর্তারই আছে। এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা তাদের অনর্থকভাবে কোনো প্রাণীকে আগুনে পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে শেখায়। এই বিশ্বাস আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, কিছু ক্ষমতা শুধু তারই জন্য সংরক্ষিত, যা অন্য কোনো সৃষ্টিকে দেওয়া হয়নি।

অন্যান্য ধর্ম এবং পৌরাণিক কাহিনিতেও আগুনের মাধ্যমে শাস্তি বা ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয় দেখা যায়, তবে সেগুলো ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। যেমন : গ্রিক পুরাণে প্রমিথিউস দেবতাদের কাছ থেকে আগুন চুরি করে মানুষকে দেওয়ায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

বাইবেলেও ঈশ্বরকে অনেক জায়গায় আগুন ও পানি দ্বারা শক্তি বা শাস্তি প্রয়োগ করতে দেখা যায়, যেমন এলিয়র প্রার্থনার জবাবে আগুন নেমে আসার ঘটনা।

তবে ‘সৃষ্টিকর্তা আগুন এবং পানির শাস্তি নিজ হাতে রেখেছেন’ এই নির্দিষ্ট ধারণাটি বিশেষভাবে ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে তুলে ধরে। এ বিষয়টি অন্যান্য ধর্মাবলম্বিরাও মেনে চলে। শুধু ধর্মাবলম্বীরা নয়, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র এই বিষয়টি মেনে চলে। একারণে পৃথিবীর কোনো আদালত অপরাধী কে আগুন ও পানির শাস্তি প্রদান করে না। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে, বাড়ির চারপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুন, বিশেষ করে সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবুন, কারণ এটি অপরাধীদের জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ ও নির্গমন পথ সুরক্ষিত রাখুন। দাহ্য পদার্থ, যেমন- কাঠ, জ্বালানি ইত্যাদি বাড়ি থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। অগ্নিকাণ্ড সংগঠনের স্থানে ভিড় করবেন না। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অগ্নি নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধের ওপর কর্মশালা ও সেমিনারে অংশ নিন। শিশুদেরও অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে শিক্ষা দিন। বাংলাদেশ সরকারকে জনগণের মধ্যে মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ষড়যন্ত্রমূলক অগ্নিকাণ্ড ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।আমরা যদি এখনও না জাগি, তবে আগামী দুর্ঘটনার আগাম গণনা শুরু করে দিন। এখনই সময় এক ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের- যেখানে জননিরাপত্তা, স্বচ্ছতা এবং মানুষের জীবনের মূল্য রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার পাবে।

ড. মো: আনোয়ার হোসেন

প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক, প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত