প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
রপ্তানি পণ্য তালিকা বহুমুখীকরণে ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশকে চীনের দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশটিতে আমরা পণ্য রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়াতে পারছি না- এ মর্মে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে একটি জাতীয় দৈনিকে। সংক্ষিপ্ত কলেবরে প্রকাশিত সংবাদটি নানা কারণেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা দিলেও রপ্তানি পণ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনায় ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না। বাংলাদেশ তার আমদানি পণ্যের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চীন থেকে আনছে। এর বিপরীতে চীনে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি পরিমাণ মাত্র দেড় শতাংশ। ঠিক একই বিষয় লক্ষ্য করা যায় ভারতের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ খুবই কম। ফলে চীন এবং ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে একতরফা সুবিধা পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, আমরা যেসব দেশে বিপুল পরিমাণে পণ্য রপ্তানি করি, সেসব দেশ থেকে আমাদের আমদানির পরিমাণ কম। আবার যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। যেমন, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করে চীন এবং ভারত থেকে; কিন্তু এ দুটি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রে বাংলাদেশি পণ্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এ দুটি অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির পরিমাণ কম।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে রপ্তানি করা হয় ২১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এটি মোট রপ্তানি আয়ের ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ খুব সামান্য পরিমাণ পণ্যই আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টি দেশ থেকে আসে মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য তালিকায় ১২৫টি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও সংশ্লিষ্ট পণ্য থেকে আসে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের মতো। অবশিষ্ট শীর্ষ ১০টি পণ্য থেকে আসে প্রায় ৮ শতাংশের মতো রপ্তানি আয়।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের আরও একটি বড় ধরনের দুর্বলতা হচ্ছে স্থানীয় কাঁচামালনির্ভর পণ্য রপ্তানি বাড়াতে না পারা। বর্তমানে তৈরি পোশাক একক পণ্য হিসাবে রপ্তানি তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত থেকে প্রতিবছর যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, তা থেকে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে আবারও বিদেশে চলে যায়। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের মূল্য সংযোজনের হার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। আমরা যদি পাট, চা, চামড়ার মতো স্থানীয় কাঁচামালনির্ভর পণ্য বেশি বেশি করে রপ্তানি তালিকায় স্থান দিতে পারতাম, তাহলে রপ্তানি আয় বহুগুণ বাড়তে পারত। এক সময় বাংলাদেশের রপ্তানি তালিকার শীর্ষে ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য; কিন্তু আমরা পাটের বহুমুখী পণ্য উদ্ভাবন করতে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে পাট শিল্প এখন বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি পণ্য তালিকায় যেসব পণ্য রয়েছে, তাদের বিকল্প ব্যবহার উদ্ভাবন করতে পারলে সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় বাড়ানো সম্ভব হতো।
উদাহরণ হিসাবে পাট পণ্যের ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করা যেতে পারে। বাংলাদেশের গবেষকরা পাট তন্তু দিয়ে সুতা তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এ সুতা তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। তৈরি পোশাক শিল্পে যদি তুলার বদলে পাট তন্তু ব্যবহারের কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো, তাহলে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের হার অনেকটাই বাড়তে পারত; পাটচাষিও উপকৃত হতো। তারা উৎপাদিত পাটের উপযুক্ত দাম পেতেন। পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য জাতীয়ভাবে লাগসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ আগামী বছর উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) সুবিধা অব্যাহত রাখবে। তারপর জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহৃত হবে। সেই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি নিশ্চিতভাবে হ্রাস পাবে। জিএসপি সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পেয়ে আসছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়ে আসছে। কোনো কোনো গবেষকের মতে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বছরে ৬ থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয় হারাবে। আগামীতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। দিন দিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অতীতকালে যখন কোনো পণ্য উৎপাদন করা হতো, তখন আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বিবেচনা করতে হতো না। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্যই পণ্য উৎপাদিত হতো। কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পালটে গেছে। এখন পণ্য উৎপাদনকালে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থাও বিবেচনায় রাখতে হয়। পণ্য উৎপাদনকারীর মূল লক্ষ্য থাকে কীভাবে স্থানীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটানোর পর বিদেশি ভোক্তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করা যায়। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু হওয়ার পর বিশ্ব একটি ‘গ্লোবাল ভিলেজে’ পরিণত হয়েছে। সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি পণ্য অতি দ্রুত বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আবার বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য স্বল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা পৃথিবীর অন্য কোনো প্রান্তে চলে যেতে পারে।
অতীতে পণ্য বিনিময় প্রথা প্রচলিত ছিল। ভোক্তাকে বাজারে গিয়ে এমন একজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হতো, যাদের দুজনের মধ্যে চাহিদার মিল রয়েছে। যেমন কেউ হয়তো বাজার গিয়েছেন তার খামারে উৎপাদিত কবুতরের বিনিময়ে হাঁস কেনার জন্য। বাজারে গিয়ে তাকে এমন একজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হতো, যিনি হাঁসের বিনিময়ে কবুতর পেতে চান। এভাবে চাহিদার সমন্বয় ঘটানো ছিল খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বর্তমানে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে অর্থ ব্যবহৃত হওয়ার ফলে দুজন ভোক্তার চাহিদা না মিললেও ক্রয়-বিক্রয় হতে পারে। কিন্তু তাই বলে পণ্যের চাহিদা সৃষ্টির বিষয়টি কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। এখনও কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে হলে, সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সংশ্লিষ্ট পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি করতে হয়। রপ্তানিকৃত পণ্যের গুণগত মান তুলনামূলকভাবে উন্নত এবং পাশাপাশি মূল্য সাশ্রয়ী হতে হবে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চাহিদাকৃত পণ্যের ভিন্নতা থাকা আবশ্যক। যেমন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। অনুরূপভাবে চীনও তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, তাহলে এ দুটি দেশের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। অবশ্য এ ক্ষেত্রে একজন ভোক্তা পণ্যের গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্য বিবেচনা করবে। যেমন, চীনের একজন ভোক্তা বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা তৈরি পোশাক ক্রয় করতে পারে, যদি সেই পোশাক চীনের তৈরি পোশাকের চেয়ে বেশি গুণগত মানসম্পন্ন এবং মূল্য সাশ্রয়ী হয়।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ-সৌদি আরব ব্যবসায়িক ফোরাম গঠিত হয়েছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি উদ্যোগ। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা যদি চেষ্টা করেন, তাহলে এ দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়তে পারে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সাযুজ্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ উভয় দেশের উৎপাদিত পণ্যের ভিন্নতা এবং মূল্য সাশ্রয়ের বিষয়টি। ধর্মীয় সাযুজ্যের বিষয় যদি বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলত, তাহলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর বাজার বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি পণ্যে ভরপুর থাকত; কিন্তু তা হচ্ছে না। সৌদি আরবের বাজারে চীন এবং ভারতীয় পণ্যের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে পণ্য রপ্তানি ও জনশক্তি রপ্তানি। জনশক্তি রপ্তানি খাতটি এক অর্থে পণ্য রপ্তানি খাতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতি বছর জনশক্তি রপ্তানি খাত থেকে যে রেমিট্যান্স আহরিত হয়, তার প্রায় পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। কিন্তু পণ্য রপ্তানি খাতে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশই কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে আবারও বিদেশে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। এ বিপুলসংখ্যক মানুষ দেশে থাকলে বেকার সমস্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াত, তা ভাবলেও গা শিউরে উঠে। কিন্তু জনশক্তি রপ্তানি খাতের সম্ভাবনাকেও আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।
প্রতিযোগী দেশগুলো তুলনামূলক কম জনশক্তি রপ্তানি করেও আমাদের চেয়ে অনেক বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করছে। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। ২০১০ সালে কর্মসংস্থান উপলক্ষ্যে বিদেশে গমনকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে পেশাজীবীর হার ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। দক্ষ শ্রমিকের হার ছিল ২৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। আধা দক্ষ শ্রমিকের হার ছিল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর স্বল্প দক্ষ (আসলে অদক্ষ) শ্রমিকের হার ছিল ৭১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ১২ বছর পর ২০২২ সালে পেশাজীবীর হার দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ। দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। আধা দক্ষ শ্রমিকের হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। স্বল্প দক্ষ শ্রমিকের হার দাঁড়ায় ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস চেষ্টা করলে জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
আমি ২০০৩ সালের মার্চে বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণের সময় সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার এবং তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৫০ কোটি টাকা। ৩ বছরের ব্যবধানে ২০০৬ সালে বাহরাইনে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ হাজার এবং তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্স ৪৮০ কোটিতে উন্নীত হয়। একজন রাষ্ট্রদূতকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। রাষ্ট্রদূত যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন, তাহলে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
বাংলাদেশের পণ্য ও জনশক্তি রপ্তানি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ানোর জন্য জাতীয়ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।