ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের

টানা চার ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফেবারিট হিসেবেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ভারত। টস হারলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিউইদের নাগালের মধ্যে রেখে রোহিত-কোহলিদের বিজয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। গতকাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানে বেঁধে রেখেছিল ভারত। মাঝারি মানেই এই লক্ষ্য টপকে ৪ উইকেটের জয়ে তৃতীয়বারের মতো মিনি বিশ্বকাপখ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাটা ঘরে তুলল ভারত।

রান তাড়া করতে নেমে মারকুটে ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা। শুভমান গিলকে সঙ্গী করে বিনা উইকেটে ১০৫ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। দলীয় ১৯তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে শর্ট এক্সট্রা কাভারে দৌড়ে গিয়ে গিলের ক্যাচ তালুবন্দি করেন গ্লেন ফিলিপস। ৫০ বলে ১ ছক্কায় ৩১ রান করে ফেরেন গিল। এরপর ১০৬ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান কোহলিও ফিরেন সাজঘরে। মাইকেল ব্রেসওয়েলের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন কোহলি। ২ বল খেলে ১ রান করেন তিনি।

রোহিতের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন শ্রেয়াস আয়ার। ২৭তম ওভারে দুর্দান্ত এক বলে সেট ব্যাটার রোহিত শর্মাকে ফেরালেন রাচিন রবীন্দ্র। শুরুতে চড়াও হলেও মাঝে কিছুটা দেখে খেলছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। তবে রাচিনকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লাইন মিস করলে বল ধরে স্ট্যাম্প ভাঙেন টম ল্যাথাম। ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন রোহিত। দলীয় ৩৯তম ওভারে ১৮৩ রানে বিদায় নেন আয়ার। মিচেল স্যান্টনারের বলে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শ্রেয়াস। ৬২ বল খেলে ৪৮ রান করে যান তিনি। অক্ষরের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দেন লোকেশ রাহুল। হার্দিক ১৮ রান করে বিদায় নিলেও রবিন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বাদ নেয় ভারত। রাহুল ৩৪ এবং জাদেজা ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন। তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার। রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান। ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান। বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান। এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান। বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত