ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলি সেনাদলের ওপর গুলি, বহু সেনা হতাহত

* ইয়েমেনে ‘ব্যর্থ’ মার্কিন বাহিনী * নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর * ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের পক্ষে মার্কিনিরা * নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের ‘চাপ’ * আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি সেনাদলের ওপর গুলি, বহু সেনা হতাহত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের আল-কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, প্রতিরোধ যোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে পুরোদমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সুপরিকল্পিতভাবে শত্রুদের ডেরায় হামলা চালাচ্ছেন এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছেন। তিনি জানান, হামলাগুলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিকল্পিত সময়, স্থান ও পদ্ধতির ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। বেইত হানুন থেকে রাফা পর্যন্ত- সর্বত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই অবিরাম লড়াইকে ফিলিস্তিনি গর্বের ধারক, অলৌকিক সহায়তা এবং সমগ্র জাতির যুবক-তরুণদের বীরত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে বর্ণনা করেন আবু ওবাইদা। তিনি বলেন, যোদ্ধারা বিজয় কিংবা শাহাদাত পর্যন্ত লড়াই করার শপথে অটুট রয়েছেন এবং পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট কৌশলের ভিত্তিতে লড়াই চলছে। মুখপাত্রের এই মন্তব্যের আগে আল-কাসসাম জানায়, তাদের স্নাইপাররা উত্তর গাজার বেইত হানুনের পূর্বে আল-আওদা স্ট্রিটে চার ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিককে গুলি করেছেন। তাদের সবাই নিহত কিংবা আহত হয়েছেন। আবু ওবাইদা জানান, বেইত হানুনের পূর্বে গত সপ্তাহে ‘ব্রেকিং দ্য সোর্ড’ শিরোনামে পরিচালিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় এই হামলা চালানো হলো। ওই অভিযানে ইসরায়েলের গাজা ডিভিশনের কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স ব্যাটালিয়নের একটি মিলিটারি স্টর্ম ভেহিকলে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এতে গাড়িতে অবস্থান করা সব সেনা নিহত কিংবা আহত হয়েছিলেন। এরপর উদ্ধারকারী সেনারা এলে তাদের ওপর অ্যান্টি-পার্সোনেল এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আরও সেনা হতাহত হন। এদিন গাজাসিটির আল-তুফফাহ এলাকার পাশে নতুন করে স্থাপিত হানাদার বাহিনীর একটি অবস্থানে অপেক্ষমান কয়েকটি গাড়িতে চারটি আরপিজি শেল দিয়ে আঘাত করেন কাসসামের যোদ্ধারা। এরপর আরেক ঘটনায় বুবি-ট্র্যাপযুক্ত একটি টানেলে ইসরায়েলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটকে যেতে প্রলুব্ধ করেন তারা। দখলদার সেনারা সেখানে গেলে টানেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই ঘটনায় বহু সেনা হতাহত হন। এদিকে প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের আল-কুদস ব্রিগেডস শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা গাজাসিটির পূর্বে আল-মুন্তার হিলের পাশে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও তাদের গাড়িতে আঘাত হেনেছেন। তাছাড়া, দক্ষিণ গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ২০৫তম ব্রিগেডের তিনজন সেনা গুরুতর আহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রাফায় এই আরপিজি হামলায় এক সেনার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তারা।

ইয়েমেনে ‘ব্যর্থ’ মার্কিন বাহিনী : মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে শুক্রবার ফক্স নিউজ জানিয়েছে, চলমান বিমান হামলার পরও ইয়েমেনের হুথি আনসার-আল্লাহর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেনি মার্কিন সামরিক বাহিনী। ইয়েমেনি বাহিনী একটির পর একটি অতিমূল্যবান এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোন ভূপাতিত করে চলেছেন, যা মার্কিন অভিযানকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে বলে মন্তব্য করেছে ফক্স নিউজ। বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার সিএনএনের খবরে বলা হয়, মার্চের ৩ তারিখ থেকে ইয়েমেনিরা অন্তত সাতটি এমকিউ-নাইন ড্রোন ভূপাতিত করেছেন; যে কারণে মার্কিন গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা, যুদ্ধক্ষেত্র নিরূপণ ও প্রধান বিদ্রোহী নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার কাজ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ওই কর্মকর্তারা জানান, ড্রোনগুলোকে আঘাত করার ক্ষেত্রে ইমেয়েনি বাহিনীর দক্ষতা ক্রমশ বাড়ছে; এটি মার্কিন বাহিনীর জন্য বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। সিএনএন জানায়, পেন্টাগনের লক্ষ্য ছিল, ৩০ দিনের মধ্যে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দুর্বল করে অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করা। কিন্তু, ড্রোনগুলো নিয়মিতভাবে হামলার শিকার হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের চিন্তা থেকে সরে আসছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেছেন, ড্রোনকে সফলভাবে আঘাত করার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে; ইয়েমেনি বাহিনীর এই সক্ষমতা মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় মার্কিন সহায়তায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার জবাবে ইয়েমেনি বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা আবার শুরু করার পর গত ১৫ মার্চ থেকে সানাসহ উত্তর ও মধ্য ইয়েমেনে অন্তত ৯০০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেও এখন কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বোমাবর্ষণের পরও ইয়েমেনি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ও কমান্ড কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারেননি তারা। মার্কিন হিসাব অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহে ইয়েমেনি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭৭ বার ড্রোন হামলা, ৩০ বার ক্রুজ মিসাইল হামলা, ২৪ বার ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ও ২৩ বার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল হামলা চালিয়েছেন। শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে হুথি যোদ্ধাদের হাতে সাতটি মার্কিন রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে; এতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর: গাজায় চলমান যুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক। তিনি একে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক স্বার্থে এই যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে। ইসরায়েলি চ্যানেল টোয়েলভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারাক ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ এবং অস্তিত্বের জন্য এই যুদ্ধকে হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্গম একটি খাড়া পাহাড়ের নিচে খাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। যে কোনো সময় পতিত হতে পারি। এই বিপদ প্রথমত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য, এরপর আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, আমাদের গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের পরিচয় এবং এর ভবিষ্যতের জন্য।’ ইসরায়েলকে এই অতল গহ্বরে ঠেলে দেওয়ার জন্য তিনি নেতানিয়াহুকে পুরোপুরি দায়ী করেন। বারাক বলেন, ‘ইসরায়েল একটি অর্থহীন যুদ্ধে লিপ্ত, যেটির কোনো প্রয়োজন ছিল না। আর, এই যুদ্ধকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, তিনি যুদ্ধ বাড়াচ্ছেন তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘নেতানিয়াহুর এটি করার কারণ হলো- তিনি জানেন, যুদ্ধ বন্ধ হলে তার বিরুদ্ধে জোরেশোরে তদন্তকাজ শুরু হবে এবং তিনি নির্ঘাত পতনের মুখে পড়বেন।’ এহুদ বারাক ইঙ্গিত দেন, এখন যে ধাঁচে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তাতে গাজায় বন্দি ইসরায়েলিরা মুক্তি পাবেন না। তিনি নেতানিয়াহুর পদক্ষেপগুলোকে ‘আজগুবি’ উল্লেখ করে বলেন, তিন সপ্তাহ আগে নেতানিয়াহু তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বলেছিলেন, আমরা জোর করে গাজায় প্রবেশ করব, হামাস অস্ত্রসমর্পণ করবে, তাদের নেতারা বিদেশে বহিষ্কৃত হবেন এবং এরপর গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু, দেখা গেল, ট্রাম্প নিজেই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন। বারাক উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু হামাসকে পরাজিত করার যে কথা বলছেন, তা কখনও সম্ভব হবে না।

ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের পক্ষে মার্কিনিরা: ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান সীমিত করার পক্ষে জোরালো মত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট ভোটাররা। গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরমধ্যে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া অকুণ্ঠ সমর্থনের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের এই মত উঠে এলো। খবরে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট ভোটারদের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, তাদের ৭১ শতাংশ মনে করেন, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা সীমিত করা উচিত। পাশাপাশি, তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন। জরিপটি পরিচালনা এবং প্রকাশ করে ‘ডেটা ফর প্রগ্রেস’। এপ্রিলের ৯ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে এসএমএস ও ওয়েব প্যানেলের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাট ভোটাররা কেবল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতেই নয়, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি, জলবায়ু ও অভিবাসন নীতিতেও ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রতি চরম অসন্তুষ্ট। মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট ভোটাররা ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা সীমিত করার পক্ষে থাকলেও গত নির্বাচনে দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদকালে ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছেন। গাজা যুদ্ধের নির্মমতার জন্য বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়ে কোনো অংশে কম দায়ী নয়।

নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের ‘চাপ’: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন। গত শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন। গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তারা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বাকি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেবেন না। এদিকে শুক্রবার জতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, এই সপ্তাহের শুরুতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার ফোনালাপে মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে কি না। জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গাজার প্রসঙ্গ এসেছিল এবং আমি বলেছিলাম, ‘আমাদের গাজার প্রতি ভালো আচরণ করতে হবে; ওই লোকেরা কষ্ট পাচ্ছে।’ গাজায় সাহায্যের জন্য প্রবেশপথ খোলার বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেছেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমরা আছি। আমরা এটি দেখব। খাদ্য এবং ওষুধের খুব বড় প্রয়োজন এবং আমরা বিষয়টি দেখছি।’ নেতানিয়াহু কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘ভালো মনে হয়েছে।’

আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টায় ১৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেকে ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।’ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪৩৯ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। গাজার মিডিয়া অফিসের আপডেট তথ্য বলছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-রও বেশি হবে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকাপড়া হাজার হাজার মানুষ আর বেঁচে নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত