ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিজেই লাশ

জুলাই ২০২৪
লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিজেই লাশ

বাজারে নাশতা করবেন বলে মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন বিপ্লব হাসান (২০)। এর মধ্যে একটি কল পেয়ে তিনি চলে যান। পরে পরিবারের লোকজন তার মৃত্যুর খবর পান। কথাগুলো বলছিলেন, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া এলাকায় ২০ জুলাই নিহত বিপ্লবের মা বিলকিস আক্তার। এদিন ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া বাজার এলাকায় কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২৯ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বিপ্লবদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনেই বিপ্লবকে দাফন করা হয়েছে।

স্বজনেরা বলেন, বিপ্লব হাসান স্থানীয় মোজাফফর আলী ফকির উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও দুবারই অকৃতকার্য হন। রিকশার মিস্ত্রি বাবার একার আয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় দেখে স্থানীয় এক তেলের কলে চাকরি নেন তিনি। বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শুনেছি যখন দুজন মারা গেছে, সেই লাশগুলো আমার ছেলে তুলে আনতে যায়। তখন পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে। মানুষের কাছে শুনতেছি, পুলিশ পাড়া দিয়ে আমার ছেলেকে গুলি করছে। সবাই দেখেছে, পুলিশের গুলিতে আমার ছেলে মারা গেছে।’ বিপ্লবের বাবা বাবুল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করত না। প্রশাসনের গুলিতে আমার ছেলে মারা গেল, সরকারের কাছে এই বিচারের আবেদন জানাই।’ বিপ্লব হাসানের মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আলম বাদী হয়ে ২২ জুলাই থানায় একটি মামলা করেন। অজ্ঞাত পরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র মোতাবেক বন্দুকধারী চার থেকে পাঁচজন গুলি করে বিপ্লব হাসানকে হত্যা করে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত