ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চাঁদাবাজি-দুর্নীতি সহ্য করব না

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশে জামায়াত আমির
চাঁদাবাজি-দুর্নীতি সহ্য করব না

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মূল উৎপাটনে যা করার দরকার তারুণ্য-যৌবনের শক্তিকে একত্রে সেই লড়াই করবো, লড়াইয়ে আমরা জয়লাভ করব। কারণ, জামায়াতে ইসলামী চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায়। চাঁদা আমরা নিব না, চাঁদা আমরা নিতে দিব না, দুর্নীতি আমরা করব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করবো না। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। দেশের বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। জাতীয় সমাবেশে আগতরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের সড়ক ছাপিয়ে কাঁটাবন-বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার-মৎস ভবন-কাকরাইল এলাকায় অবস্থান করেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়া, পল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, গুলিস্তান ছাড়িয়েছে জনসমাগম। রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিল সরব। কারও কারও পরনে জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট। কারও কারও মাথায় বাঁধা দলীয় সাদা ফিতা। আবার কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে সমাবেশে আসেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নেতাকর্মীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ায় শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বেশিকিছু এলাকায় বসানো ডিজিটাল পর্দায় সমাবেশ দেখেন বহু নেতাকর্মীরা। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকেরা। একই সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটা লড়াই হয়েছে এমন মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, এরইমধ্যে বহু মানুষের জীবন ফ্যাসিবাদিদের হাতে চলে যেত, ২০২৪ সালে জুলাইয়ে জীবনবাজি রাখার যুদ্ধটা না হতো, তাহলে আজকে যারা বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া পেশ করছেন, তারা তখন কোথায় থাকতেন। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই নিয়ামত পেয়েছি তাদেরকে যেন অবজ্ঞা ও অবহেলা না করি। শিশু বলে তাদেরকে যেন তুচ্ছ, তাচ্ছিল্ল না করি। অরাজনৈতিক ভাষায় আমরা যেন কথা বলি। যারা এসব করতে পারবেন না, তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রূপ নতুন করে বাসা বেধেছে। রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার রক্ষা করে সবাই মিলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবো।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমি জামায়াতের আমির হয়ে কথা বলতে আসিনি, আমি এসেছি বাংলাদেশের আটারো কোটি মানুষের একজন হয়ে কথা বলতে এসেছি। আমি শিশুদের বন্ধু, যুবকদের ভাই, আমি বয়স্কদের সহযোদ্ধা। বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির মুক্তির জন্য আমাদের এই লড়াই নয়। রাস্তার একজন পরিচ্ছন্নকর্মী, চা বাগানের একজন শ্রমিক, রক্ত পানি করে ঘাম ঝড়ানো একজন রিকশাচালক, মাঠে ময়দানে যেসব কৃষক পরিশ্রম করে মানুষের মুখে ভাত তুলে দেন আমি সেই সব মানুষের হয়ে কথা বলতে এসেছি। আমি কোনো অভিজাত শ্রেণির হয়ে কথা বলতে আসিনি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে জাতিকে মুক্তি দিতে গিয়ে যারা জীবন দিয়ে শহিদ হলেন আমি তাদের একজন হতে পারলাম না। আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আগামীতে ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ গড়ে তোলার জন্য যে লড়াই হবে, সেই লড়াইয়ে আল্লাহ যেন আমাকে একজন শহিদ হিসেবে কবুল করেন। এ সময়ে সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমির। এরপর চেয়ারে বসে থেকে তিনি বক্তব্য দেন। জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী যদি বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে জামায়াতে ইসলামী মালিক হবে না, সেবক হবে। আজ আমি লক্ষ জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষণা দিচ্ছি, আল্লাহর ইচ্ছা ও জনগণের ভালোবাসায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে তারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সব বরাদ্দের হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরতে বাধ্য হবেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে, শাপলা গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা ও ২৪-এর জুলাইয়ের গণহত্যা যারা করেছে তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। বিচার দৃশ্যমান না পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না। এতো মানুষ এমনি এমনি জীবন দেয়নি, তারা জীবন দিয়েছেন জাতির মুক্তির জন্য। পুরোনো ব্যবস্থা যদি টিকে থাকে তাহলে তারা কেন জীবন দিয়েছিলেন। যারা পুরোনো ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গড়তে চান, তাদেরকে বলছি- জুলাই যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের জীবন ফিরিয়ে দেন। কাজেই নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে, ইনশাল্লাহ।

জামায়াতের আমির বলেন, নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। যে বাংলাদেশ শিশু, কিশোর, যুবক, মা, বোন, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা ও ব্যবসায়ীসহ সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারবে, সেই নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে আসতে গিয়ে মারা গেছেন দুইজন, সমাবেশে এসে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন আরেকজন। আল্লাহপাক তাদেরকে বেহেশত দান করুন। সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমির। পরে জানা গেছে, তিনি গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদাবাজবিরোধীরাই জিতবে। জামায়াতে ইসলামী চায়, আগামী নির্বাচনে জনগণের জয় হোক। জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই জিতবে। সোহরাওয়ার্দীর বিশাল এ সমাবেশ, মেসেজ কি পাওয়া যাচ্ছে না, কারা জিতবে? আগামীতে বাংলাদেশপন্থিরাই জিতবে, চাঁদাবাজবিরোধীরাই জিতবে, সুশাসনের পক্ষের শক্তি বিজয় হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব ধরনের জঙ্গিবাদ রুখে দেবে। প্রয়োজনে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদকে পছন্দ করে না। ইসলামেও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। সেটা ধর্মীয় জঙ্গিবাদ হতে পারে, আবার রাজনৈতিক জঙ্গিবাদও হতে পারে। জামায়াত সব ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে; সংগ্রাম করবে, প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াবে।

খণ্ড খণ্ড মিছিলে উত্তাল ছিল রাজধানী : ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ঘিরে সারাদেশ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকায় আসেন নেতাকর্মীরা। গতকাল ভোর থেকে নেতাকর্মী ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ দিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। দুপুরেও ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের আসতে দেখা যায়। রাজধানীজুড়ে ছিল নেতাকর্মীদের মিছিল। মিছিলে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা হাতে দেখা গেছে। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত এলাকায় এমন খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা গেছে। পল্টন মোড়ে জামায়াতের সমর্থক জসীম মিয়া বলেন, আমরা ময়মনসিংহ থেকে এসেছি। ট্রেনে করে ঢাকায় আসছি। অনেকদিন পর সমাবেশ তাই বাড়তি আনন্দ কাজ করছে। সমাবেশে আসা বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যাগ, পানির বোতল, শুকনা খাবার।

রংবেরংয়ের দাঁড়িপাল্লা : সমাবেশে নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পেয়েছে নানা রঙের দাঁড়িপাল্লা। এই দৃশ্য সমাবেশে ভিন্ন এক আমেজ তৈরি করে। বাংলাদেশের পতাকা, জামায়াতে ইসলামীর পতাকাসহ রংবেরংয়ের দাঁড়িপাল্লা। কারও হাতে লাল, কারও হাতে সাদা, আবার অনেকে বিভিন্ন রঙের দাঁড়িপাল্লা নিয়ে সমাবেশের দিকে ছুটে আসেন। বাংলামোটরের মজনু নামের এক চায়ের দোকানি বলেন, দীর্ঘদিন পরে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করছে। প্রত্যেকটি বহরেই কারও না কারও হাতে বিভিন্ন রঙের দাঁড়িপাল্লা আমাদের নজর কাড়ছে। কেউ লাল রঙের দাঁড়িপাল্লা, কেউ আবার সাদা রঙের, কেউ নীল রঙের, আবার কেউ জামায়াতে ইসলামীর পতাকা পেঁচিয়ে দাঁড়িপাল্লা তৈরি করে সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।

মঞ্চে জামায়াতের নাটক : আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি, ছাত্র আন্দোলন ও স্লোগান নিয়ে নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। শেখ হাসিনার পলায়ন দৃশ্যও নাটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নাটকে অভিনয় করেছেন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী, সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ, মহানগর শিল্পী গোষ্ঠীসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ মঞ্চে ইসলামী সংগীত, দেশাত্মবোধক গান ও কবিতায় মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। জামায়াত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে জুলাইয়ের বিভিন্ন স্লোগান ও আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস উঠে আসে। গানে গানে স্মরণ করা হয় শহিদদের।

সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার : জাতীয় সমাবেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার করা হয়। মঞ্চের একপাশেই এর ব্যবস্থা করা হয়। সমাবেশে যেসব বক্তারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বক্তব্য সাংকেতিক ভাষায় বোঝানো হয়েছে।

ডিজিটাল পর্দার ব্যবস্থা : ভিড়ের কারণে সমাবেশের মূল মাঠে ঢুকতে না পেরে অনেকেই শাহবাগ মোড়, রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন সড়কে বসে পড়েন। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসানো ডিজিটাল পর্দায় সমাবেশের বক্তব্য শোনেন বহু নেতাকর্মী। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, গুলিস্তান, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শাহবাগ এলাকায় দুটি বড় হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে রোগীদের আসা যাওয়ায় যাতে সমস্যা না হয়, সেটি আমরা খেয়াল রাখছি। কোনো অ্যাম্বুলেন্স আসলে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করে দিচ্ছি।’ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা থেকে আসা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সকাল ৯টায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে না পেরে শাহবাগেই বসে পড়েছি। এখানে বড় পর্দায় মঞ্চের বক্তাদের বক্তব্য শুনছি। রাজশাহী শহর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা আসাদুল আলম বলেন, ‘সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকেছিলাম। মানুষের ভিড়ে কিছুই দেখা যায় না। তাই বের হয়ে শাহবাগ বড় পর্দার সামনে এসে বসেছি। এখান থেকেই সমাবেশ দেখব।’

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জরুরি অ্যাম্বুলেন্স : দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসায় অতিরিক্ত গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, সেজন্য ফ্রি মেডিকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সাধারণত প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো রাখা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাদানকারীরা জানান, সম্পূর্ণ সমাবেশ ঘিরে ১৫টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এগুলোতে সাধারণত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ, স্যালাইন ও পানি দেওয়া হয়। প্রতি ক্যাম্পে ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী নিযুক্ত ছিল। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যবস্থা রাখা হয়।

নেতাকর্মীদের সঙ্গী পানি-রুটি-ছাতা : সমাবেশস্থলে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের ঢল পড়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রিয় দলের সমাবেশে যোগ দিতে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা করেন সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার। প্রতিটি নেতাকর্মী রান্না করা খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবার নিয়ে আসেন। কারো হাতে বিরিয়ানি কিংবা ডিম খিচুড়ি প্যাকেট, রুটি। একাধিক পানির বোতল সঙ্গে করে নিয়ে আসেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ বিস্কুটের প্যাকেটও নিয়ে এসেছিলেন। তবে এসব পানির বোতল কিংবা বিস্কুটের প্যাকেট রাস্তাঘাটে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়নি।

জাতীয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির শফিকুর রহমান। সমাবেশে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত