
বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে টেলিফোনে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিদেশের বিভিন্ন মিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রের বরাতে জানা যায়, কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইল না দিয়ে টেলিফোন কলে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতদের অন্য মিশনে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা এখনো তারা পাননি। তবে বিদেশের দুটি মিশন প্রধান জানিয়েছেন, তারা সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানান, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোনে সরকারের এই নির্দেশনার কথা অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন দূতকে জানানো হয়েছে। তারা অন্য মিশনে জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে ছবি সরানোর বিষয়টি তদারকি করবেন তারা। আরেক কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সরাসরি আমাদের জানাননি। ওনার পক্ষে কাছাকাছি একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানিয়েছেন।’
এদিকে, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গতকাল রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিদেশে মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে কোনও লিখিত নির্দেশনা আছে বলে জানা নেই। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ বা নীরবতা ছিল। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে চীনের সঙ্গে তিস্তা মহা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১০ বছরের জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে। নদী ভাঙন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখাই প্রকল্পের বড় লক্ষ্য।