
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ব্যাপারে সরাসরি ভূমিকা রাখে ছাত্রসংসদ। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনুসারী ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসের পাশাপাশি মূলধারার রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখর ক্যাম্পাস। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বাগছাস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর একাধিক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনের আগেই প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ও মাঠ ধরে রাখতে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যও করেছেন তারা।
সিনেট ভবনে উপচেপড়া ভিড় : গতকাল মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষদিনে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। সিনেট ভবনের সামনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায। এক পর্যায়ে ভবনের ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গার সংকট তৈরি হয়। বড় রাজনৈতিক সংগঠনের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও অনেক শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন হল ও অনুষদ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, কিছু চাপের কারণে সিনেটে আসতে পারিনি। তবে গতকাল মনোনয়ন নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য, এতে আমাদের মতো অনেক শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে। একাধিক ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে শুরু করে বড় রাজনৈতিক সংগঠন- সবাই নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মবের অভিযোগ রিজভীর : ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের মনোনয়নপত্র ক্রয় ঠেকাতে মব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সারা দেশে আইনবহির্ভূতভাবে মব করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জিয়া উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে। জাতি নির্বাচনি রোডম্যাপের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল করে ভোটারবান্ধব কেন্দ্র করতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে যেসব কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর আগে গত সোমবার ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রদলের নেত্রীকে ফরম তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে ছাত্রদল।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় বাড়ল : গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলে বলা হয়, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ সময় ১৮ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল, আর মনোনয়ন ফরম জমার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু গত সোমবার চিফ রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরে সময়সীমা একদিন বৃদ্ধি করা হয়। এতে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একদিন বাড়িয়ে আজ বুধবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে। সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আরও লক্ষ করেছি, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের জন্য ভিড় করলে কোনো কোনো হল ও কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ সবার জন্য সমান ও সমুন্নত রাখার তাগিদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে।
ছাত্রদলকে সুবিধা দিতেই সময় বাড়ানো হয় : অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ছাত্রদল এখনও তাদের ডাকসু প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি। তাদের বাড়তি সুবিধা দিতেই ডাকসুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। গত সোমবার রাত ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আবু বাকের মজুমদার বলেন, ছাত্রদলের কবি জসিমউদদীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম অর্ধশতাধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলতে যান। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সময় শেষ হওয়ার পরে কয়েকজন মনোনয়ন ফরম তুলতে যান। এ সময় সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেন। কিন্তু ছাত্রদল এটিকে মব আখ্যা দেয় এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে দাবি করে। আমরা দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদলের কথামতো ওই সচেতন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, যে ব্যক্তি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন, তিনি কেবল তা করেই ক্ষান্ত হননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হঠাৎ করে সময় বাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রদলকে এক্সট্রা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সবার আগে মনোনয়নপত্র জমা দিলো শিবির নেতৃত্বাধীন প্যানেল : ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সবার আগে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে ছাত্রশিবিরে নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। গতকাল মঙ্গলবার ঢাবির নওয়াব নবাব আলী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন তারা। মনোনয়ন জমা শেষে ঢাবি শিবির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, শিবিরের প্যানেল ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলের প্রশংসা করছে এবং তারা এটিকে ভালোভাবে নিয়েছে।
মাহিন সরকারকে এনসিপি থেকে বহিষ্কার : ডাকসু নির্বাচনে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মাহিন সরকার। এরপর ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে এনসিপি। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে দলটি বলছে, প্রার্থিতা ঘোষণার আগে মাহিন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের অনুমতি নেননি। গত সোমবার দুপুরে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ নামে একটি স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের জিএস পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন মাহিন সরকার। ওই দিন রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাহিনকে বহিষ্কার করার কথা জানায় এনসিপি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের শীর্ষ একটি পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মাহিন সরকার। সেটি নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় মাহিন পৃথক প্যানেলে গেছেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্যানেলের প্রতি এনসিপির সমর্থন রয়েছে। মাহিন ডাকসুর শীর্ষ একটি পদে প্রার্থী হলে বৈষম্যবিরোধী প্যানেলেরই ভোট নষ্ট হবে, এমন বিবেচনায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে লড়বে ৭ বাম সংগঠন : ডাকসু নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে প্যানেলে ঘোষণা করেছে বাম ধারার সাত ছাত্র সংগঠন। এ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি আগের সংসদে শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। এজিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির আহমেদ জুবেল। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৮ সদস্যের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা তুলে ধরেন জুবেল। তিনি বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ নিয়ে তাদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। অবশ্য শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি সরাসরি কোনো বাম সংগঠনের সঙ্গে ছিলেন না।
স্বৈরাচার হাসিনার প্রশংসায় গদগদ সেই ইমি সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চুপ: বাম গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট থেকে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার নিজেদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল ঘোষণার পর পরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইমি। কারণ এরই মধ্যে তার একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২০১৯ সালে ডাকসুতে নির্বাচিত হওয়ার পর ইমিকে এক টকশো-তে পতিত স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনার প্রশংসায় গদগদ হতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্য হিসেবে দেখতে চাওয়ার মনোবাসনা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এদিকে ইমির বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল। সেখানে ইমি এবং মেঘমল্লার বসু ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেন। প্যানেল ঘোষণার পর হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্য পদে দেখতে চাওয়ার বক্তব্যের বিষয়ে ইমির মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা। কিন্তু ইমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে কিছু একটা বলতে চাইলেও ইমিকে থামিয়ে মেঘমল্লার বসু বলেন, পর্ষদের সংবাদ সম্মেলনে আমরা এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। সংবাদ সম্মেলনের পর ক্যাম্পাসে ইমি আপাকে আলাদা করে প্রশ্ন করতে পারেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আবেদন আহ্বান : ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী নিবন্ধিত বা লাইসেন্সধারী ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের জন্য পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সর্বোচ্চ ছয়জন, প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়ার সর্বোচ্চ তিনজন এবং প্রতিটি অনলাইন মিডিয়ার সর্বোচ্চ তিনজন সাংবাদিককে পর্যবেক্ষক কার্ড প্রদান করা হবে। কার্ডটি শুধ ৯ সেপ্টেম্বরের জন্য প্রযোজ্য থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন-লাইসেন্স’র প্রমাণপত্রের ফটোকপি (দুই কপি) ও প্রত্যেক আগ্রহী সাংবাদিককে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (দুই কপি) জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।