ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সোশ্যাল মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি

সোশ্যাল মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি

পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতাকে নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ তো আছেই, এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াজনিত নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এখানে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কখনও নৈতিকতার বিকল্প হতে পারে না।

গতকাল শুক্রবার নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের সতর্ক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যোগাযোগ ভেঙে পড়া মানেই সবকিছু ভেঙে পড়া। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় বার্তা যেন সঠিকভাবে পৌঁছায়, সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, সেটিকে ব্যয় নয় বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত। আপনি যখন স্বাস্থ্য বা শিক্ষায় টাকা খরচ করেন, আসলে সেটি বিনিয়োগ। একইভাবে প্রশিক্ষণে ব্যয়ও একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ।

যোগাযোগ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া এক প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সেখানে এক ছোট বার্তা কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌঁছাতে গিয়ে বিকৃত হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনেও একই ঝুঁকি থাকে। তাই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং সঠিকভাবে নোট নিতে হবে। পেছনের সারিতে বসা প্রশিক্ষণার্থীরা প্রায়ই ঝিমায়। এতে যোগাযোগ ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। সিইসি বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ তো আছেই, এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াজনিত নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন আলাদা সেল গঠন করবে। প্রশিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন-কানুন শেখানোর পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধের দায়িত্বও নিতে হবে এবং এ বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দিতে হবে।

একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভালো নির্বাচন করতে হবে। এর বিকল্প নেই। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘরে ফেরার কোন পথ নেই। ভাল নির্বাচন না হলে শুধু কমিশনের দায় থাকবে না। এর দায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও নিতে হবে। জীবন চলে যেতে পারে, তবু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি করা যাবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত