
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের হত্যা ও নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ভরণপোষণ বা মানবিক সহায়তার তহবিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই তহবিল কমে যাওয়ায় শিবিরে রোহিঙ্গা সেবায় বড় প্রভাব ফেলবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদে হলে গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ আয়োজিত এ সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন জোরদার করা, আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখা, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সম্মেলনে মিয়ানমারের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি সার্বিক, সুনির্দিষ্ট ও সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। অগ্রাধিকার পায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখেন। এ সম্মেলনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রতিনিধিত্ব করে তুরস্ক এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) প্রতিনিধিত্ব কুয়েত।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ইউনিসেফ প্রধানের সাক্ষাৎ : গত সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় চলমান রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস ও ক্যাথরিন রাসেল। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল চলমান রোহিঙ্গা সংকট। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য মানবিক কার্যক্রমে তহবিল ঘাটতির বিষয়টি প্রাধান্য পায়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তহবিল সংকটকে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটির কারণে এরমধ্যেই বহু স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শিক্ষককে চাকরি হারাতে হয়েছে। প্রফেসর ইউনুস আরও বলেন, ‘এটি একটি বড় ধরণের বিপর্যয়। শিবিরের শিক্ষাব্যবস্থা শত শত হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জীবনে নতুন আশার আলো দেখিয়েছিল। ক্ষোভ আর ক্রোধ নিয়ে বড় হওয়া এসব শিশুদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ যে কোন সময় যে কোনো দিকে তাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক রাসেল বৈশ্বিক তহবিল পরিস্থিতি কঠিন বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, প্রথাগতভাবে উদার হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় দেশগুলিও ইউনিসেফের মতো সংস্থার মানবিক তহবিলে অর্থ দেয়া কমিয়ে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, রোহিঙ্গা যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে, যাতে তারা শেষ পর্যন্ত সেই দক্ষতা দেশে ফিরে ব্যবহার করতে পারে। সাক্ষাতে উপস্থিত ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান রোহিঙ্গা শিবিরে শিক্ষার ইতিবাচক প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র নেতা তাসনিম জারা এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউএনএইচসিআর প্রধানের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা : রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হয়। উভয় নেতাই সংকটের মূল বিষয়গুলো নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্রমশ অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশের কক্সবাজারে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার ওপর প্রভাব ফেলে এমন আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, গত ১৮ মাসে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে রোহিঙ্গা বিষয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করবে। উল্লেখ্য, কেবল রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সম্মেলন এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ সম্মেলন বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য জরুরি তহবিল সংগ্রহে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাতে সহায়ক হবে।
গ্রান্ডি গত মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনের প্রশংসা করেন, যেখানে প্রথমবার রোহিঙ্গা নেতারা চার দিনব্যাপী আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশেষ করে বৈশ্বিক শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে সংকটের টেকসই সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ইউএনএইচসিআর প্রধানকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের চলমান শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র কার্যকর সমাধান, ইউএন বিশেষ দূতকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণকে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন করাই এ দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একমাত্র কার্যকর সমাধান। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানো একমাত্র কার্যকর সমাধান। এক্ষেত্রে কোনো বিকল্প নেই।’ সোমবার নিউইয়র্কে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল ঘাটতি এবং মঙ্গলবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আলোচনা হতে যাওয়া সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আশা করি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে কিছু কার্যকর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এটি এমন একটি বিষয় যা বিশ্বের অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।’ জুলি বিশপ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তহবিল উৎস বৈচিত্র্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে তাদের অবদান বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার: আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এক ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ অতিক্রম করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরও ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে অধ্যাপক ইউনূস রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে শীর্ষ মানবাধিকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- আপনাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করা। প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।’
বৈঠকে তিনি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভেঙে পড়া ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি। গত বছরের হত্যাকাণ্ড তদন্তে আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাদের প্রতিবেদনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। এরপর আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যা একটি বড় অগ্রগতি।’
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ‘জোরপূর্বক গুম করে ফেলার অভিযোগ তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। মানুষ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনে আসছে। প্রত্যেকটি ঘটনা ভয়াবহ। বছরের পর বছর ধরে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। অনেক মানুষকে আয়না ঘরে রাখা হয়েছিল, অনেক সময় তারা জানতও না কেন সেখানে রাখা হয়েছে। কমিশন এখনও পূর্ণ প্রতিবেদন দেয়নি, তবে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এরই মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোও এই প্রক্রিয়ার অংশ। আশা করছি, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কারগুলো অক্টোবরের মধ্যে খসড়া আকারে তৈরি হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাতে স্বাক্ষর করবে।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ- এমন নির্বাচন যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। বছরের পর বছর ভোটার তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও তারা ভোট দিতে পারেনি। এবার আমরা বিশেষভাবে নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে চাই এবং তাদের অংশগ্রহণ উদযাপন করতে চাই। ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালাব। আমাদের লক্ষ্য দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু শক্তি রয়েছে যারা চায় না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা জানি না তারা কার হয়ে কাজ করছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে, যার সুবিধাভোগী রয়েছে দেশের ভিতরে ও বাইরে। তারা সুসংগঠিত—এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়। সামনে কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অধ্যাপক ইউনূস অর্থ পাচার প্রতিরোধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। আমি আশা করি মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিষয়ে আওয়াজ তুলবে, যেন কোনো ব্যাংক এমন অর্থ লুকিয়ে রাখতে না পারে। এটি সত্যিকার অর্থেই জনগণের অর্থ।’ বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা তাসনিম জারা বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে। যেন দেশ আর কখনো সেই পরিস্থিতিতে না ফিরে যায় যা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে। মানবাধিকার কর্মীরা দেশের সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেন, ‘যত বেশি সম্ভব সংস্কার নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন সংসদ গঠনের পরও তারা এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে।’ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ক্যাথরিন কুপার, আইনজীবী, রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থা; মনদীপ তিওয়ানা, সাধারণ সম্পাদক, সিভিকাস; ম্যাথিউ স্মিথ, প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা, ফোর্টিফাই রাইটস; সাবহানাজ রাশিদ দিয়া, নির্বাহী পরিচালক, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট; ক্যারোলিন ন্যাশ, এশিয়া বিষয়ক পরিচালক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল; মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, ভিজিটিং আন্তর্জাতিক পণ্ডিত, ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেসেলিনা রানা, জাতিসংঘ উপদেষ্টা, সিভিকাস।