ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় আরও সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ

গাইবান্ধায় আরও সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু কাটার সঙ্গে যুক্ত আরও সাতজনের মধ্যে রোগের উপসর্গ পাওয়া গেছে। এর আগে একই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চারজনের শরীরে উপসর্গ ধরা পড়ে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার পর্যন্ত উপজেলার মোট ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিকে চর্মরোগবিশেষজ্ঞ মনজুরুল করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন সাতজনের মধ্যে এই উপসর্গ ধরা পড়ে। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাবেয়া ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর থেকে মনজুরুল করিম প্রতি শুক্রবার গাইবান্ধায় এসে রোগী দেখেন। ওই দিন তিনি ২০-২৫ জন রোগী দেখেন। তাদের মধ্যে কিশামত গ্রামের সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি তাদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তবে রাতে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হননি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নামণ্ডপরিচয় জানা যায়নি।

চিকিৎসক মনজুরুল করিম বলেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে সাধারণত এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায়।

এদিকে কয়েক দিন আগে কিশামত গ্রামে স্থানীয় লোকজন একটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গরু কাটাকাটিতে গ্রামের ১১ জন অংশ নেন। দুই-তিন দিন পর তাদের মধ্যে চারজনের শরীরে ফোসকা পড়ে এবং মাংসে পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত, নাক, মুখ ও চোখে এসব উপসর্গ দেখা যায়।

এই চারজন হলেন- মোজা মিয়া (৫৬), মোজাফফর মিয়া (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৫০) ও মাহবুর রহমান (৫৫)। তারা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, এরইমধ্যে কিশামত গ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নে গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন রকিবুজ্জামান বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ হচ্ছে চর্মরোগ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ধরনের রোগী ভর্তি হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত