ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রহস্য বাড়ালেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান?
রহস্য বাড়ালেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের আকাশে সম্প্রতি রহস্যজনক মেঘের উপস্থিতি পাওয়ার পর পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জল্পনা। তবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, এমন প্রশ্ন প্রকাশ্যে করা উচিত নয়। আর এতেই বেড়েছে রহস্য। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বেলুচিস্তানে হাইপারসনিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে সরাসরি উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমন প্রশ্ন প্রকাশ্যে করা ঠিক নয়।

গত শুক্রবার সামা টিভির ‘মেরে সওয়াল’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় পাকিস্তান আসলেই এমন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে কি না, তখন আসিফ বলেন, ‘এমন সব প্রশ্ন এখন করবেন না, এসব বিষয় ব্যক্তিগতভাবে জানতে হয়।’ এর আগে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার আকাশে গত মঙ্গলবার ভোরে এক বিরল মেঘের দেখা পাওয়া যায়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ধারণা করেন, এটি হয়তো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বা সামরিক বাহিনীর নতুন কোনও প্রযুক্তি পরীক্ষার ফল। তবে সপ্তাহের শুরুর দিকেই এসব গুজব উড়িয়ে দিয়ে আসিফ জানিয়েছিলেন, অনলাইনে ছড়ানো ওই খবরগুলো নিছক অনুমান মাত্র।

দ্য ডন বলছে, ঘটনার দিন কোয়েটা ও বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোরের দিকে মানুষ আকাশে অদ্ভুত ওই দৃশ্য দেখার কথা জানান। পরে পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানায়, এটি ছিল ‘লেনটিকুলার ক্লাউড ফরমেশন’ বা লেন্স আকৃতির মেঘ, যা কই-মুরদার পর্বতমালার উপরে দেখা গিয়েছিল।

সংস্থাটি জানায়, ‘এসব মেঘ সূর্যোদয়ের আগেই তৈরি হয়, প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী ছিল এবং পরে সূর্য ওঠার আগেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।’

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ‘লেনটিকুলার ক্লাউড’ হলো এক ধরনের লেন্স-আকৃতির মেঘ, যা স্থিতিশীল বায়ু এবং পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বয়ে চলা বাতাসের কারণে সৃষ্টি হয়। এ ধরনের মেঘ দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশন সিনেমার ‘উড়ন্ত চাকি’ বা ইউএফওর মতো এবং অনেক সময়ই এমন মেঘকে উড়ন্ত অজ্ঞাত বস্তুর উপস্থিতি বলে ভুল করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত