
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সরেজমিন গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাইকোর্ট মাজার- সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের ফটকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান দেখা যায়। ৮টার পর সেখানে আসে সেনাবাহিনীর টহল দল।
রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এর বাইরে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের। জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে কেউ যেন উসকানিমূলক কার্যকলাপ বা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন আদালতের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় বিভিন্ন চেকপোস্টে গণপরিবহন আর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল সকালে ঢাকার রাস্তার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক দেখা গেছে।