ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাকযুদ্ধ, বিরোধ আরও গভীর

তিন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আট দলের, অপসারণ দাবি

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশকে ঘিরে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থি আট দলের মধ্যে স্পষ্ট মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। সনদের বেশকিছু অংশ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধপূর্ণ অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। ইসলামপন্থি আট দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের তিনজন উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না। এজন্য আগে অবশ্যই জাতীয় সংসদ গঠিত হতে হবে। এনসিপি বলেছে, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে জুলাই সনদকে অপবিত্র করা হয়েছে।
তিন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আট দলের, অপসারণ দাবি

তিনজন উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুকৌশলে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের স্বার্থে প্রশাসনকে দলীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে মিসগাইড করছেন। আমরা এ তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি করছি। তাদের নাম আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠাব। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত ৮ দলের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. তাহের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রশাসনে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে এবং সেখানে ওই বিশেষ দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে প্রশাসনের সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে ঐকমত্য কমিশনের অনেক সুপারিশ মানা হয়নি উল্লেখ করে ডা. তাহের বলেন, ‘সরকার বিএনপির নোট অব ডিসেন্টকে একোমডেট করার জন্য চারটা ভিন্ন ভাগে গণভোটের প্রশ্নগুলোকে বিভাজিত করেছেন; যা সুস্পষ্টভাবে জটিল ও অপ্রচলিত। এটা বেআইনিভাবে একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়।’ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অধ্যাদেশের পরিবর্তে আদেশ জারি করায় সরকারকে সাধুবাদ জানান এই জামায়াত নেতা। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ‘সাশ্রয়ী’ হবে শীর্ষক প্রধান উপদেষ্টার যুক্তিকে ‘খোঁড়া যুক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মন্তব্যের কোনো যথার্থতা নেই। জনগণের স্বার্থেই দেশের বাজেট। তিনি বলেন, যদি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে গণভোটের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। সেই সঙ্গে সংস্কার-সংক্রান্ত মূল ইস্যুটিও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবং কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা বলেন, আমরা আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি- এখনো সময় আছে। প্রধান উপদেষ্টা গণভোটের তারিখ পৃথকভাবে নতুন করে ঘোষণা করবেন এবং সেই গণভোটের রায়ের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত