ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্রের অংশ

বললেন গোলাম পরওয়ার
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্রের অংশ

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট হলরুমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

পরওয়ার বলেন, ‘বামপন্থি, কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী, ভারতীয় তাবেদার নানাভাবে জামায়াতে ইসলামীকে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে থাকেন। কিন্তু ইতিহাসের এখন বহু তথ্য, বহু সত্য বেরিয়ে এসেছে। এই হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড হলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতের ৩৬ সেনা ঢাকায় অবতরণ করেছিল। রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ পূর্বপাকিস্তান ভারতের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। সেই সময় পাকিস্তানের সৈন্য, রাজাকার আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী যাদেরকে বলা হয়, ওই বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতীয় সেনারা যখন পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলো তখন তারা তো নিজেদের আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে ব্যস্ত ছিল। কে কাকে খুঁজে হত্যা করবে, নিজেদের বাঁচাতেই তো তারা ব্যস্ত ছিল।’

জামায়াত নেতা দাবি করে বলেন, ‘রাও ফরমান আলী, ভারতের লেখকরা বলেছেন, ভারতীয় সৈন্যরা যখন ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলো, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। ভারতীয় সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় আরও দুই দিন পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন ঠিক করা হয়।’ ভারত এই দেশকে ভালোবেসে, ‘এ দেশের জনগণের কল্যাণে স্বাধীনতার জন্য সাহায্য করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছিল, সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এই স্বাধীনতা যুদ্ধে এগিয়ে এসেছিল। তারা মনে করেছিল বাংলাদেশ যদি স্বাধীন হয়েও যায় তাহলে যেন চিরদিন আমাদের অনুগত থাকে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত