দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। এর মাঝেই এবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর গোপন পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাত সম্পর্কে পেন্টাগনের একটি গোপন বৈঠকে ব্রিফিং করবেন ইলন মাস্ক। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘বৈঠকে চীনের কথা উল্লেখ বা আলোচনা করা হবে না।’ এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যেখানে দাবি করা হয়, পেন্টাগন চীনের সঙ্গে সংঘাতের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মাস্ককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করার পরিকল্পনা করছেন। সংবাদপত্রটি দুই অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়েছে যারা দাবি করেছে, বৈঠকে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের রূপরেখাসহ ২০ থেকে ৩০টি স্লাইড অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিবেদনটির এমন দাবি ট্রাম্প অস্বীকার করলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, বৈঠকের এজেন্ডা ‘উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্মার্ট উৎপাদন’ এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, পেন্টাগনে চীনসহ একাধিক বিষয়ে মাস্ককে অবহিত করা হবে।