ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘এবার সৌদি তুরস্ক ইরাকে পড়বে ইসরায়েলি বোমা’

‘এবার সৌদি তুরস্ক ইরাকে পড়বে ইসরায়েলি বোমা’

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান কমান্ডার মোহসেন রেজায়ি আঞ্চলিক দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাককে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা তেল আবিবের বিরুদ্ধে ‘সামরিক জোট’ গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তবে ওই দেশগুলোও ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হবে। গত শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠেয় বিশেষ ইসলামি-আরব সম্মেলনকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানান মোহসেন রেজায়ি।

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘এই সম্মেলন যদি পাঁচটি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং গাজায় গণহত্যার জবাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরাককেও দখলদার বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও বোমার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহসেন রেজায়ি যে পাঁচ দেশে ইসরায়েলের হামলার কথা উল্লেখ করেছেন সেই দেশগুলো হলো- লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান এবং কাতার। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল যেন একে একে প্রতিটি দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাই একটি সামরিক জোট গঠন করতেই হবে।’

ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের সতর্কবার্তা

ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎ? এক মতামত নিবন্ধে সতর্ক করে বলেছে, সম্প্রতি কাতারে (যেখানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল) চালানো বিমান হামলার পর তুরস্কের বিরুদ্ধেও নতুন একটি যুদ্ধ ফ্রন্ট খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পত্রিকাটি এ পদক্ষেপকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে’ বলে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে, দোহায় হামলার তুলনায় আঙ্কারার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। একই প্রেক্ষাপটে, ‘দ্য টাইমস অব ইসরায়েল’ জানিয়েছে, ন্যাটো বিষয়ক বিবেচনার কারণে তেলআবিব পূর্বে তুরস্কে অনুরূপ অভিযান চালানো স্থগিত করেছিল এবং পরিবর্তে কাতারকে লক্ষ্যবস্তু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তার সতর্কতা

গত শনিবারই ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পরিষদের সেক্রেটারি আলি লারিজানি সাবেক কমান্ডারের মতোই এক সতর্কতা দেন। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে অবশ্যই একটি যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর গঠন করতে হবে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শাসনের উন্মত্ততা থামানো যায়।

লারিজানি বলেন, এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট হবে এই শাসকগোষ্ঠীর প্রভুকে (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প) চিন্তিত করে তোলার জন্য। তিনি আরও যোগ করেন, এ পদক্ষেপই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাধ্য করবে ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা’ এবং ‘নোবেল পুরস্কার’-এর অজুহাতে দ্রুত ইসরায়েলের প্রতি তার নির্দেশনা পরিবর্তন করতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত