
ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে রওনা হওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ জানিয়েছে, তাদের নৌবহর ঘিরে আকাশপথে ড্রোনের তৎপরতা হঠাৎ করে বেড়েছে এবং তারা লক্ষ্য করেছেন, একাধিক ড্রোন নৌবহরের কাছাকাছি থেকে তাদের অনুসরণ করছে। তবে, ড্রোনগুলোর উৎস এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
ফ্লোটিলা জানিয়েছে, এ ঘটনা গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর আয়োজকরা পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, জাহাজে থাকা প্রত্যেকের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং এসব ঘটনা নথিভুক্ত ও মূল্যায়ন করার জন্য অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। তারা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছাতে ফ্লোটিলার প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। গত শনিবার মোট ৪৪টি জাহাজ ইতালির বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং আরও ছয়টি নৌযান বর্তমানে গ্রিসে নোঙর করা আছে, যা শিগগিরই এ নৌবহরে যোগ দেবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বহরভুক্ত পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজ ‘ফ্যামিলি বোটে’ একটি ইসরায়েলি ড্রোন আঘাত হানে, যার ফলে আগুন ধরে যায়। তবে, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পরের দিন, ফ্লোটিলার সবচেয়ে বড় জাহাজ ব্রিটিশ-পতাকাবাহী ‘আলমা’-ও একই ধরনের হামলার শিকার হয়, যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গাজাবাসীদের মানবিক সহায়তা দিতে ‘ম্যাডলিন’ জাহাজ যখন আঞ্চলিক জলসীমার কাছে পৌঁছে, তখন ইসরায়েলি ড্রোনগুলো এর ওপর ঘোরাঘুরি করছিল। এমনকি জাহাজের ওপর অজানা রাসায়নিক পদার্থও ছিটিয়েছিল। এরপর ম্যাডলিনের কর্মীদের আটক করে ইসরায়েলি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোরপূর্বক তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।